Monday, February 10, 2025
বাড়িজাতীয়নাগাল্যান্ডে 'নাগরিক' হত্যাকাণ্ড : তাণ্ডব মন শহরে, আসাম রাইফেলস ক্যাম্পে আগুন, বন্ধ...

নাগাল্যান্ডে ‘নাগরিক’ হত্যাকাণ্ড : তাণ্ডব মন শহরে, আসাম রাইফেলস ক্যাম্পে আগুন, বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা


মন (নাগাল্যান্ড), ৫ ডিসেম্বর (হি.স.) : গতকাল শনিবার বিকেলে নাগাল্যান্ডের মায়ানমার সীমান্ত-ঘেঁষা মন জেলার তিরু ও ওটিং গ্ৰামে আধাসেনা গুলি করে নিরীহ গরিব ১৫ জন নাগরিককে মেরে ফেলায় জ্বলছে মন শহর। আজ বিকেলে উত্তেজিত হাজারো জনতা মন শহরে অবস্থিত আসাম রাইফেলস-এর আউটপোস্টে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে।

গতকালের ঘটনার পর আজ সকাল থেকে কাতারে কাতারে সাধারণ নাগরিক মন শহরে এসে জমায়েত হয়ে উত্তাল বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। তবে গণ-হামলায় কোনও জওয়ান আহত হয়েছেন কি না জানা যায়নি। আসাম রাইফেলস-এর আউটপোস্ট চত্বরের বেশ কয়েকটি এলাকায় আকাশে কালো ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। কোহিমার কিসামায় চলমান রাজ্যের প্রধান উৎসব হৰ্নবিল-এর সময় এ ধরনের নৃশংস ঘটনায় গোটা রাজ্য উত্তাল হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে নাগাদের জাতীয় সংগঠন ‘হৰ্নবিল উৎসব’-এ অংশগ্রহণ করবে না ‘কন্যাক ইউনিয়ন’ এবং ছয়টি নাগা জনগোষ্ঠীকে নিয়ে গঠিত ‘দ্য ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড পিউপিলস্ অর্গানাইজেশন’ (ইএনপিও) হর্নবিন উৎসবে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে, গুজব ছড়িয়ে যাতে উত্তেজনার সৃষ্টি না হয়, সে জন্য মন জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্যের গৃহ দফতর। এ প্রসঙ্গে নাগাল্যান্ডের গৃহ দফতরের কমিশনার অভিজিৎ সিনহা বলেছেন, ভারতীয় টেলিগ্রাফ আইন ১৯৮৫-এর ধারা ৫-এর অধীনে অপপ্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যে এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে অপপ্রচার চালাবে, তাকে সিআরপিসি-র ১৮৮-র অধীনে এবং ভারতীয় টেলিগ্রাফ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তি দেওয়া হবে। তিনি জানান, ইতিমধ্যে অস্থিরতা মোকাবিলায় মন জেলায় মোবাইল ডেটা এবং বাল্ক ম্যাসেজিং পরিষেবা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেট / ডেটা সার্ভিস / সমস্ত পরিষেবা প্রদানকারীর বাল্ক এসএমএস সমগ্র মন জেলায় অবিলম্বে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর হয়েছে, জানান গৃহ দফতরের কমিশনার অভিজিৎ সিনহা।

আসাম রাইফেলস-এর এক আধিকারিক সূত্রে জানা গেছে, মায়ানমার সীমান্তবর্তী মন জেলায় উগ্রপন্থী বিরোধী অভিযানের জন্য তাঁরা সর্বদা প্রস্তুত। কেননা, এনএসসিএন-এর বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য উগ্রপন্থী সংগঠনগুলি ভারত ভূখণ্ডে এসে জঙ্গি কার্যকলাপ সংগঠিত করে মায়ানমারে পালিয়ে যায়। তাই এই জেলা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত। এরই প্রতিফলন গতকাল হয়েছে। ওটিং গ্রামে এনএসসিএন (কে) জঙ্গি গোষ্ঠীর একটি বড় দল ঘাঁটি গেড়েছে বলে এক খবর ছিল। ওই খবরের ওপর ভিত্তি করে কয়লা শ্রমিকদের জঙ্গি ক্যাডার ভেবে তাদের ওপর গুলি বর্ষণ করা হয়েছিল। তবে গোটা ঘটনার তদন্ত হবে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য