নয়াদিল্লি, ২৫ জুলাই (হি.স.): চলতি বাদল অধিবেশনের জন্য লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হলেন কংগ্রেসের ৪ জন সাংসদ। এই ৪ জন কংগ্রেস সাংসদ হলেন-মানিকম ঠাকুর, রাম্য হরিদাস, জোথিমনি এবং টিএন প্রথাপন। এদিকে, বিরোধী সাংসদদের তুমুল হইহট্টগোলের কারণে ২৬ জুলাই, বেলা এগারোটা অবধি মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে সংসদের নিম্নকক্ষের অধিবেশন।
বাদল অধিবেশনের ষষ্ঠ দিন সোমবারও শান্ত হল না গণতন্ত্রের পীঠস্থান সংসদ। মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি-সহ নানা ইস্যুতে সোমবার সংসদের নিম্নকক্ষে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস-সহ বিরোধী সাংসদরা। ফলস্বরূপ লোকসভার অধিবেশন বিকেল তিনটে অবধি মুলতুবি করে দেওয়া হয়। দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথগ্রহণের জন্য, এদিন দুপুর দু’টো থেকে শুরু হয় লোকসভার অধিবেশন। এদিন অধিবেশন শুরু হওয়ার পরই মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি-সহ নানা ইস্যুতে স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধীরা। হইহট্টগোলের জন্য ঠিকভাবে কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছিল না।
লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে বলেন, সদনে প্ল্যাকার্ড আনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি সদস্যদের। আলোচনার জন্য সরকার সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তিনি আরও বলেছেন, যদি কোনও সদস্য সদনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসেন তাহলে তাঁকে সদনের কার্যক্রমে অংশ নিতে দেওয়া হবে না। এটি গণতন্ত্রের মন্দির, সংসদের মর্যাদা রক্ষা করা সদস্যদের দায়িত্ব। ওম বিড়লার আহ্বানে কেউ সাড়া দেননি, স্লোগান চলতেই থাকে। তাই বিকেল তিনটে অবধি লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়। পরে পুনরায় অধিবেশন শুরু হলেও কংগ্রেস সাংসদরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন, তাই লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে কংগ্রেসের ৪ জন সাংসদকে। পাশাপাশি ২৬ জুলাই, বেলা এগারোটা অবধি মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে সংসদের নিম্নকক্ষের অধিবেশন।