স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৮ অগস্ট : মুখেন মারিতং জগৎ! ভীতু-কাপুরুষ পাকিস্তানের সঙ্গে অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায় এই উপমা। তার প্রমাণও এবার মিলল হাতে নাতে। অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারতের মিসাইলের ভয়ে করাচি বন্দর খালি করে পালিয়েছিল পাক নৌবহর। করাচি থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে ইরানের কাছে গদর বন্দরে গিয়ে লুকোয় পাক নৌবাহিনির ‘বীরপুঙ্গব’রা। এবার সামনে এল সেই ঘটনার স্যাটেলাইট ইমেজ। এই তথ্য সামনে আসতেই নতুন করে হাসির খোরাক হয়ে উঠেছে পাকিস্তান।
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ মৃত্যুর বদলা নিতে ৬-৭ মে রাতে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরে ৯ জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। এরপর পালটা ভারতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। শুরু হয় যুদ্ধ। সেই সময়ে শোনা যাচ্ছিল পাকিস্তানে করাচি বন্দরে হামলা চালাতে পারে ভারত। তবে শেষ পর্যন্ত সেখানে হামলা না করলেও তটস্থ হয়ে ছিল পাক নৌসেনা। মিসাইল হামলার ভয়ে করাচি বন্দর খালি করে ইরানের কাছে গদর বন্দরে পালিয়ে যায় পাকিস্তানের যুদ্ধ জাহাজগুলি। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের তরফে সেই সময়ের এক স্যাটেলাইট ইমেজ সামনে আনা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, গদর বন্দরে ভিড় জমিয়েছে পাকিস্তানের সমস্ত যুদ্ধজাহাজ। কার্যত খালি করাচি বন্দর।
ভারত-পাক যুদ্ধে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে শেষবার ১৯৭১-এর যুদ্ধের সময় হামলা চালিয়েছিল ভারত। সেই সময় কার্যত গুঁড়িয়ে যায় করাচি। সেই অভিযানের প্রধান দক্ষিণ নৌ কমান্ডের প্রাক্তন প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এসসি সুরেশ বাঙ্গারা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ৭ মে অপারেশনের পর ওদের তিন বাহিনীর সতর্ক থাকা উচিৎ ছিল। তবে স্যাটেলাইট ইমেজে স্পষ্ট যে হামলার ভয়ে লেজ গুটিয়ে পালানোর রাস্তা নিয়েছিল তারা। অবশ্য অস্ত্রের লড়াইয়ে এঁটে উঠতে না পারলেও মুখের লড়াইয়ে কোনও খামতি ছিল না পাকিস্তানের। দফায় দফায় পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান। এমনকি সংঘর্ষবিরতির পর মিথ্যে যুদ্ধ জয়ের বিজয় উৎসবও করেছে। যুদ্ধের সময়ে লাগাতার ভারতের সেনাঘাঁটি ধ্বংসের মিথ্যে দাবি করেছে তারা।
অথচ ভারতের জবাবি হামলায় পাকিস্তানের নূর বায়ুসেনা ঘাঁটি-সহ ১৩টি সেনাঘাঁটি যে ধ্বংস হয়েছিল তা প্রমাণিত সত্য। এসবের মাঝেই এবার নতুন স্যাটেলাইট ইমেজ স্পষ্ট করে দিল মিথ্যার ঢাক পেটানো পাকিস্তানের কাপুরুষতা।

