স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১০ অগস্ট : আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছেন। নিক্ষেপ করছেন একের পর এক শুল্কবাণ। এর মাধ্যমে তিনি নিজেই নিজেকে ধ্বংস করছেন। ট্রাম্পকে খোঁচা দিয়ে এমনটাই বললেন প্রখ্যাত মার্কিন অর্থনীতিবিদ তথা জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টিভ হ্যাঙ্ক।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “শুল্ক নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে সিদ্ধান্তগুলি নিচ্ছেন, তার কোনও সারবত্তা নেই। নেপোলিয়ন বলেছিলেন, যদি তোমার শত্রু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়, তাহলে তাঁর পথে না যাওয়াই ভালো। ট্রাম্প সেরকম কাজই করছেন। তিনি নিজেই নিজেকে ধ্বংস করছেন।” তিনি আরও বলেন, “আমার মনে হয়, এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের শান্ত থাকা উচিত। তাড়াহুড়ো করে কোনও পদক্ষেপ করা উচিত নয়। কারণ, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাণিজ্য নীতি দুর্বল এবং তা শীঘ্রই ভেঙে পড়বে।” হ্যাঙ্কের দাবি, আমেরিকায় বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। তার কারণ, সেদেশের নাগরিকদের ব্যয় মোট জাতীয় উৎপাদনের চেয়ে অনেক বেশি। একইসঙ্গে ট্রাম্পের শুল্কনীতিকে তিনি ‘আবর্জনা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন। তাঁর কথায়, “রাশিয়া থেকে ভারত এখনও তেল কেনা চালিয়ে যাচ্ছে। তার শাস্তিস্বরূপ বাড়তি কর বসানো হল ভারতীয় পণ্যের উপর।” অর্থাৎ এবার ভারতীয় পণ্যের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে আমেরিকা। ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরেই দীর্ঘ বিবৃতি প্রকাশ করেছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। সেখানে বলা হয়, ‘গত কয়েকদিন ধরে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানির বিষয়টিকে টার্গেট করেছে আমেরিকা। এই বিষয়ে আমরা নিজেদের অবস্থান আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছি। বাজারের পরিস্থিতি এবং দেশের ১৪০ কোটি মানুষের শক্তিসম্পদের চাহিদার দিকে নজর রেখে আমদানি করা হয়।’ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তুলোধোনা করে বিদেশমন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়, ‘অন্য বহু দেশ নিজেদের জাতীয় স্বার্থের কথা ভেবে একই কাজ করছে। কিন্তু আমেরিকা কেবল ভারতের উপরেই অতিরিক্ত শুল্ক চাপাচ্ছে, এটা যথেষ্ট দুর্ভাগ্য়জনক। মার্কিন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলতে চাই, এই সিদ্ধান্ত অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অন্যায়। নিজেদের জাতীয় স্বার্থকে সুরক্ষিত করতে সমস্তরকম পদক্ষেপ করবে ভারত।’

