স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১২ মে : এক সময় ছিলেন দেশের রাষ্ট্রপতি। সর্বোচ্চ পদাধিকারী। সেই মানুষটাই লুঙ্গি-গেঞ্জি পরে ছদ্মবেশে দেশ ছেড়ে পালালেন। কোথায় ঘটতে পারে এমন ঘটনা? এই ঘটনা বাংলাদেশের। কথা হচ্ছে হাসিনা আমলের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে নিয়ে। মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ব্যাপক চাপে ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয় একাধিক মামলা। জীবন বিপন্ন বুঝেই বিদেশে পলাতক হলেন হামিদ।
সূত্রের খবর, বুধবার মাঝরাতে লুঙ্গি, গেঞ্জি ও মুখে মাস্ক পরে শাহজালাল বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে হাজির হন হামিদ। তাঁর সঙ্গে ছিল ইমিগ্রেশনে কূটনৈতিক সুবিধার বিশেষ লাল পাসপোর্ট। গোপনীয়তার সঙ্গেই তাঁকে বিমানবন্দরের ভেতরে ঢোকানো হয়। নিরাপত্তা তল্লাশি হয়নি বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির। এর ফলেই দ্রুত নির্দিষ্ট বিমানে উঠে পড়েন তিনি। মনে করা হচ্ছে, থাইল্যান্ড উড়ে গিয়েছেন হামিদ। সবচেয়ে বড় কথা, বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনই দেশ ছাড়ার সবুজ সংকেত দেয় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে। এর ফলেই গত বুধবার রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের বিমানে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ
গোপনে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগের ঘটনায় বেজায় চটেছে বিএনপি। রবিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির বলেন, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ফ্যাসিবাদের প্রতিনিধি। অথচ তার লাল পাসপোর্ট বাতিল করা হয়নি। সরকারের শক্তিশালী উপদেষ্টারা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে পালালেন আবদুল হামিদ? এই ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা।