স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৬ মে : দিল্লি থেকে মধ্যপ্রদেশের জবলপুর যাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জুয়েল ওরাঁও। শনিবার রাতে গন্ডোয়ানা এক্সপ্রেসে জবলপুরের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। হজরত নিজামউদ্দিন স্টেশন থেকে ট্রেনে চড়তে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু রবিবার দামোহ স্টেশনে তাঁর আসন খালি দেখে হুলস্থুল পড়ে যায়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তাঁর সংরক্ষিত আসনে খুঁজে না পেয়ে রেল আধিকারিক এবং রেলের নিরাপত্তারক্ষীরা তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। তিন ঘণ্টা তল্লাশি অভিযানের পর ১৬২ কিলোমিটার দূরে মধ্যপ্রদেশের সিহোরা স্টেশনে সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসের বি৩ কোচের ৫৭ নম্বর বার্থে আহত অবস্থায় মন্ত্রীকে পাওয়া যায় বলে রেল সূত্রে খবর।
সিহোরা আরপিএফ আধিকারিক রাজীব খরব ‘দ্য লল্লনটপ’কে জানিয়েছেন, গত ৩ মে দিল্লি থেকে গন্ডোয়ানা এক্সপ্রেসে ওঠেন আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী তথা ওড়িশার সুন্দরগড়ের সাংসদ ওরাওঁ। রবিবার ভোর পৌনে ৪টে নাগাদ মধ্যপ্রদেশের দামোহ স্টেশনে ট্রেন থামে। মন্ত্রীর রক্তের শর্করার মাত্রা (সুগার লেভেল) কমে গিয়েছিল। তিনি খাওয়ার জন্য স্টেশনে নামেন। তখনই ট্রেন ছেড়ে দেয়। মন্ত্রী ওরাওঁ ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু পা পিছলে প্ল্যাটফর্মেই পড়ে যান। তখন সামান্য চোট পান। ওই স্টেশনেরই পাশের প্ল্যাটফর্মে ছিল সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনে উঠে পড়েন মন্ত্রী। মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষী এবং কর্মীরা যখন তাঁকে গন্ডোয়ানা এক্সপ্রেসের নির্ধারিত আসনে খুঁজে পাচ্ছিলেন না, তখনই তাঁরা রেল আধিকারিক এবং রেল সুরক্ষা বাহিনীকে খবর দেন।
আরপিএফ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, ট্রেন এবং রেললাইন বরাবর তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তিন ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। অবশেষে সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেস থেকে মন্ত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তার পর তাঁকে জবলপুর সার্কিট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। এই ঘটনায় মন্ত্রীর তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে পশ্চিম-মধ্য রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক হর্ষিত শ্রীবাস্তব এনডিটিভি-কে জানিয়েছেন, মন্ত্রীর এই পরিস্থিতির কথা জানার পরই রেল তৎপরতার সঙ্গে পদক্ষেপ করেছে। তাঁকে সিহোরা থেকে জবলপুরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়।