স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২8 এপ্রিল : পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়েই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জঙ্গিহানার কড়া নিন্দার পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের প্রতি শোকজ্ঞাপনও করেছিলেন তিনি। এ বার রাষ্ট্রনেতার সুরে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করলেন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারাও।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি সমাজমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লেখেন, ‘‘কাশ্মীরে মর্মান্তিক সন্ত্রাসী হামলার পর আমি ভারতীয় জনগণের জন্য প্রার্থনা করছি। এই কঠিন সময়ে আমেরিকা তার ভারতীয় বন্ধুদের পাশে রয়েছে। আমরা সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে।’’ নিউ ইয়র্কের সেনেটর চাক শুমার বলেন, ‘‘কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিরীহ পর্যটক ও স্থানীয়দের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’’ রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ব্রায়ান ফিটজ়্প্যাট্রিক বলেন, ‘‘ভারতে আমাদের ভাইবোনদের পাশে রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও এই লড়াইয়ে সংহতি জানাই।’’ রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস-সহ তাবড় বিশ্বনেতারাও এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘‘এই ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।’’
মঙ্গলবারের হামলার পরেই আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাছ থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজ নিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর কিছু ক্ষণ পরেই মোদীকে ফোন করেন তিনি। হোয়াইট হাউস থেকে আমেরিকার প্রেস সচিব ক্যারোলিন ল্যাভিট আগেই জানিয়েছিলেন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলবেন ট্রাম্প। সূত্রের খবর, তার কিছু ক্ষণ পরেই দুই দেশের প্রধানের মধ্যে কথোপকথন হয়। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডলে জানান, ফোনে নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি শোকপ্রকাশ করেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে, ভারতের পাশে থাকার বার্তাও দেয় আমেরিকা।
ঘটনাচক্রে, ভারত সফরে এসেছেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। তার মাঝেই পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ড চালায় পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। এই পরিস্থিতিতে ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে আমেরিকা।