স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৩ এপ্রিল : পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা নিয়ে ‘বন্ধু’ ভারতের পাশে দাঁড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্প। এই ‘কাপুরুষোচিত’ হামলার নিন্দা করে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিল ইজরায়েলও।
পহেলগাঁও-য়ে যে ২৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে এদের মধ্যে ২ জন বিদেশি পর্যটকও রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওই দুই পর্যটকের একজন ইটালির, অপরজন ইজরায়েলের। দেশের নাগরিকের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার আগেই অবশ্য ইজরায়েলের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “পহেলগাঁওয়ের নৃশংস জঙ্গি হামলায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইজরায়েল ভারতের পাশে সর্বতভাবে রয়েছে।” ইজরায়েলের এই বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বলে রাখা ভালো, অতীতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইজরায়েলি সমরাস্ত্র ব্যবহার করেছে ভারত।
জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘ভারতের জঙ্গি হামলার ঘটনা আমাকে বিব্রত করেছে। আমেরিকা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তিশালীভাবে ভারতের পাশে আছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ভারতের অসাধারণ জনগণ, আপনাদের জন্য আমার পূর্ণ সমর্থন এবং সহমর্মিতা।” ভারত সফররত মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন।
বেসরকারি হিসাব বলছে, পহেলগাঁও হামলায় অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। এখনও বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি। পহেলগাঁওয়ে রীতিমতো ধর্মীয় পরিচয় দেখে দেখে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। স্থানীয় সূত্রের দাবি, জঙ্গিরা এসেছিল সেনার পোশাক পরে। সব মিলিয়ে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে। পুলওয়ামার পর এটাই ভারতের বুকে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা। অন্তত মৃতের সংখ্যার নিরিখে। পুলওয়ামা যেমন গোটা ভারতকে নাড়িয়ে দিয়েছিল, এই ঘটনার ভয়াবহতাও কোনও অংশে কম নয়। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা-ইজরায়েলের মতো দেশগুলির পাশে থাকা আগামী দিনের কূটনৈতিক লড়াইয়ে ভারতকে শক্তিশালী করবে।