Saturday, July 5, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদআন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশেও আইনি অধিকার পাননি কুলভূষণ, স্বীকার পাকিস্তানের

আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশেও আইনি অধিকার পাননি কুলভূষণ, স্বীকার পাকিস্তানের

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২০ এপ্রিল : আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশের পরও উচ্চতর আদালতে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি কুলভূষণ যাদবকে। সম্প্রতি পাক সুপ্রিম কোর্টে এ কথা স্বীকার করে নিল পাকিস্তান সরকার। এক ভিন্ন মামলায় কূলভূষণ যাদবের প্রসঙ্গ টেনে এনে একথা স্বীকার করে নিল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

২০২৩ সালে পাকিস্তানে ইমরান খানের গ্রেপ্তারি ও সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে বহু মানুষকে গ্রেপ্তার করে পাক সরকার। পাক সামরিক আদালত সাজা ঘোষণা করে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে বন্দিদের মুক্তির দাবিতে মামলা চলছে পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতে। সেখানেই বিচারপতিরা জানতে চান, যাদবের ক্ষেত্রে সামরিক আদালতের রায় পর্যালোচনার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল তাহলে পাকিস্তানের নাগরিকদের সেই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না কেন? এপ্রসঙ্গে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রকের আইনজীবী জানান, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে কুলভূষণকে ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগের অধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। আবেদনের অধিকার দেওয়া হয়নি। তাই তাঁকে উচ্চতর আদালতে যাওয়ার সুযোগ দেয়নি সেখানকার সরকার।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে কুলভূষণ যাদবকে গ্রেপ্তার করেছিল পাকিস্তান। ২০১৭ সালে তাঁর মৃত্যুদণ্ড দেয় পাক সামরিক আদালত। অভিযোগ তোলা হয় তিনি ভারতীয় গুপ্তচর। এবং RAW-এর হয়ে কাজ করেন। তবে পালটা ভারতের তরফে জানানো হয়, কুলভূষণ প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী। ব্যবসায়ীক কাজে তিনি ইরানে ছিলেন সেখান থেকে অপহরণ করে তাঁকে পাকিস্তান নিয়ে যাওয়া হয়। এই মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ চেয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত। এর প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় ভারতের পক্ষে যায়।

আন্তর্জাতিক আদালত জানিয়ে দেয়, পাকিস্তান যাদবকে কনসুলার অ্যাক্সেস বা কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগের অধিকারে হস্তক্ষেপ করে আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। রায়ে কুলভূষণের সঙ্গে যোগাযোগ, তাঁকে জেলে দেখতে আসা ও আইনি প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করার অধিকারে বাধা দেওয়া যাবে না। তবে সে নির্দেশ মানেনি পাকিস্তান। এবার সেটাই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল। শুধু বিদেশি নয়, পাকিস্তানে সামরিক আদালতের রায়ের পর তাঁকে আর উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় না। কুলভূষণের ক্ষেত্রে যেটা করা হয়েছে, সেটাই এবার দেশের অভ্যন্তরে নিজের দেশের জনতার সঙ্গে করছে পাক সরকার। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে পাকিস্তানে মানুষের নাগরিক অধিকার এবং সামরিক আদালতের স্বচ্ছতা ও ভূমিকা নিয়ে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!