Monday, April 28, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদভিসা থাকলেও বিদেশিদের মানতে হবে নিয়ম

ভিসা থাকলেও বিদেশিদের মানতে হবে নিয়ম

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,  ১৩ এপ্রিল : বৈধ ভিসা থাকলেও আমেরিকায় বাস করতে গেলে বিশেষ একটি নিয়ম মানতেই হবে বিদেশি নাগরিকদের। জানিয়ে দিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। তাঁর প্রশাসনের অধীনস্থ হোমল্যান্ড নিরাপত্তা বিভাগের হুঁশিয়ারি, যে বিদেশি নাগিরকেরা ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে আমেরিকায় থাকছেন, তাঁদের অবশ্যই সরকারের কাছে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। না করলে দিতে হবে জরিমানা। এমনকি, জেলও হতে পারে তাঁদের। যাঁরা এইচ-১বি বা পড়ুয়া ভিসায় আমেরিকায় রয়েছেন, তাঁদেরও এই নিয়ম মানতে হবে।

হোমল্যান্ড নিরাপত্তা দফতর এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট দিয়ে লিখেছে, ‘‘যে বিদেশি নাগরিকেরা ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে আমেরিকায় রয়েছেন, তাঁদের সরকারের কাছে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। না করলে জরিমানা, এমনকি জেলবাস বা দুইই হতে পারে।’’ এই পোস্টে ট্রাম্পের দফতরকে ট্যাগ করেছে প্রশাসন। তাদের আরও হুঁশিয়ারি, এই নিয়ম না মেনে চললে দেশ থেকে বার করে দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমেরিকায় ফেরার পথ চিরতরে বন্ধ হতে পারে।

যাঁরা আমেরিকায় এইচ-১বি ভিসা বা পড়ুয়া ভিসায় রয়েছেন, তাঁরাও এই নিয়ম মানতে এ বার থেকে বাধ্য থাকবেন। রিপোর্ট বলছে, আমেরিকায় অভিবাসীদের সন্তানের বয়স ১৪ পার হলে, তাদের নতুন করে সরকারি দফতরে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। নতুন করে আঙুলের ছাপ দিতে হবে। ১৪তম জন্মদিনের ৩০ দিনের মধ্যে এই কাজ করতে হবে তাদের। হোমল্যান্ড নিরাপত্তা বিভাগের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, অভিবাসীদের সন্তানের বয়স ১৮ পার হলে, তাঁদের সব সময় আমেরিকায় বসবাসের অনুমোদনের বৈধ নথি সঙ্গে রাখতে হবে। আমেরিকায় বসবাসকারী কানাডার নাগরিকদের জন্যও এই নিয়ম প্রযোজ্য।

হোমল্যান্ড নিরাপত্তা বিভাগের সচিব ক্রিস্টি নোয়েম বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং আমার একটি স্পষ্ট বার্তা রয়েছে। যাঁরা এ দেশে অবৈধ ভাবে রয়েছেন, তাঁরা দেশ ছেড়ে চলে যান। এখনই দেশ ছেড়ে চলে গেলে আবার ফেরার সুযোগ পেতে পারেন। আমেরিকায় বাঁচার স্বপ্নপূরণ হতে পারে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, অভিবাসন সংক্রান্ত যত আইন আমেরিকায় রয়েছে, সবই প্রয়োগ করা হবে। মাতৃভূমি এবং আমেরিকানদের স্বার্থেই এই কাজ করা হবে।

আমেরিকায় বসবাসকারী অভিবাসীদের সরকারি দফতরে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করার নিয়ম নতুন নয়। গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে এই আইন চালু হয়েছিল। যদিও তা খুব বেশি প্রয়োগ করতে দেখা যায়নি। এ বার ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে এই আইন প্রয়োগের কথা ঘোষণা করেন। সপ্তাহের শুরুতে তাতে সম্মতি দেন বিচারক ট্রেভর নিল ম্যাকফাডেন। তার পরেই তৎপর হল প্রশাসন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!