স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০২ মার্চ : দেশে ভোটের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে স্থানীয় স্তরের অন্তত পাঁচটি নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি রয়েছে বলে সাফ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চলতি বছরের শেষ বা আগামী বছরের প্রথমদিকে দেশে সাধারণ নির্বাচন হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশের ফেরাতে তৎপর ইউনুস সরকার। আগামী এক থেকে দেড়মাসের মধ্যে শুরু হতে পারে মুজিবকন্যার বিচারপ্রক্রিয়া। ইন্টারপোলের সাহায্য নিয়ে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে দ্রুত বিচার শুরর করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার দেশের সরকারি আইনজীবী তথা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান আইনজীবী মহম্মদ তাজুল হোসেন।
গত ৫ আগস্ট দেশে গণ অভ্যুত্থানের জেরে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয় শেখ হাসিনাকে। প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে তিনি ভারতে চলে আসেন। আপাতত নয়াদিল্লির গোপন ডেরায় ভারতের কূটনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন মুজিবকন্যা তথা আওয়ামি লিগের নেত্রী। তাঁর এবং তৎকালীন আওয়ামি লিগ সরকারের বহু মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হত্যার মামলা দায়ের করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। আর তা করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিক মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাঁকে দেশে ফেরাতে আবেদনের পাশাপাশি বহুবার নয়াদিল্লির উপর চাপের কৌশল অবলম্বন করেছে ইউনুস সরকার। কিন্তু সুফল মেলেনি এখনও। আর তাই হাসিনা আমলের বন্দি বিনিময় চুক্তিকে এখন ঢাল করছে তারা।
এই পরিস্থিতিতে মার্চের শুরুর দিনই সরকারি আইনজীবী বড় দাবি করলেন। শনিবার এক অনুষ্ঠানে আইনজীবী মহম্মদ তাজুল হোসেনের বক্তব্য, ‘‘ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। আওয়ামি লিগ সরকারই তা স্বাক্ষর করেছিল। আশা করছি, এই চুক্তির শর্ত মেনেই ভারত হাসিনাকে ফিরিয়ে দেবে। এটি কোনও সাধারণ খুনের ঘটনা নয়। এগুলি মানবতাবিরোধী অপরাধ। দু’হাজারের বেশি মানুষ এতে শহিদ হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি। আমরা দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর চেষ্টা করছি।’’
তাজুলের আরও বক্তব্য, ‘‘হাসিনা-সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আমরা মার্চ মাসের মধ্যেই হাতে পেয়ে যাব বলে আশা করছি। যদি আনুষ্ঠানিকভাবে ওই প্রতিবেদন পেয়ে যাই, এক-দেড় মাসের মধ্যেই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে। কতদিন ধরে তা চলবে, এখনই বলা সম্ভব নয়। নথির পরিমাণ, সাক্ষীদের বয়ান বিচার করে আদালত সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের দিক থেকে যত দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়ার কাজ এগোনো যায়, সেই চেষ্টা করব। ট্রাইব্যুনালের বিচার কোনও বিরতি ছাড়াই চলবে।’’