স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৯ ফেব্রুয়ারি : ‘বদলের বাংলাদেশে’ রক্তের ধারা কিছুতেই শুকোচ্ছে না। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ইউনিটি কাউন্সিলের এক রিপোর্ট। সেদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভয়াবহ ছবিটা স্পষ্ট হয়েছে যে রিপোর্টে। এর মধ্যেই ফের উদ্ধার আওয়ামি লিগের হিন্দু নেতার মুণ্ডহীন দেহ! প্রয়াত নেতার নাম ভরতচন্দ্র রায়। তিনি চণ্ডীপুর ইউনিয়ন আওয়ামি লিগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
মঙ্গলবার দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেললাইনের ধারে ওই নেতার হাত-পা বাঁধা দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, হাত-পা বেঁধে ওই নেতাকে রেললাইনে ফেলে রেখে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। রাতে কোনও ট্রেন তাঁর শরীরের উপর দিয়ে চলে গেলে তাঁর শরীর থেকে মাথা ছিন্ন হয়ে যায়। সকালে তাঁর দেহটি দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। দুপুরের দিকে জানা যায় নিহতের পরিচয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সন্ধ্যার পর থেকে তাঁর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা যায়নি। মৃতের ছেলে রিপন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, ভরতচন্দ্র রেলওয়েতে খালাসি পদে চুক্তিভিত্তিক চাকরি করতেন। সেই সঙ্গেই সামলাতেন আওয়ামি লিগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব। কেন তাঁকে খুন করা হল সেটা তাঁরা বুঝতে পারছেন না বলেই দাবি রিপনের। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট থেকে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
গত বুধবার রাষ্ট্রসংঘের একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দাবি করা হয়, গত বছরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে ১৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামি লিগের নেতার হত্যার বিষয়টি ঘিরে নতুন চাঞ্চল্য তৈরি হল।