স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৮ ফেব্রুয়ারি : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধরত দুদেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের আলোচনার টেবিলে বসানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। তাই ইউক্রেন নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন সৌদি আরবকে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে প্রথমে এই আলোচনায় ডাকাই হয়নি ইউক্রেনকে। যা নিয়ে নানা জলঘোলা হয়। ট্রাম্পের মনে কূটনীতির কোন প্যাঁচ চলছে তা নিয়েও নানা প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু সূত্রের খবর, শান্তি বৈঠকের জন্য এবার সৌদিতে যেতে পারেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ‘প্রয়োজনে’ তাঁর সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আলোচনায় বসবেন। এমনই সবুজ সংকেত দিয়েছে ক্রেমলিন। তাহলে কি সত্যিই এবার মুখোমুখি হচ্ছেন পুতিন-জেলেনস্কি?
জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর বিষয়ে সৌদি আরবে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক চলছে। উপস্থিত রয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও ও রাশিয়ার আধিকারিকরা। বুধবার এই আলোচনায় যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির। এই প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার ক্রেমলিন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘দরকার পড়লে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।” পাশাপাশি যুদ্ধের রফাসূত্র বের করার জন্য যে আজ সৌদিতে আমেরিকা ও রাশিয়ার আধিকারিকরা বৈঠক করছেন সে কথাও জানানো হয়েছে ক্রেমলিনের তরফে।
তবে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা বললেও যথেষ্ট রুষ্ট জেলেনস্কি। এর আগে তিনিই ট্রাম্পের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন যাতে রাশিয়া ও ইউক্রেনকে আলোচনার টেবিলে বসানো যায়। তাঁর এই বার্তার পরই পুতিনকে ফোন করেন ট্রাম্প। কিন্তু সৌদিতে আলোচনার শুরুতে পাত্তাই দেওয়া হয়নি ইউক্রেনকে। ডাকা হয়নি কিয়েভের কোনও প্রতিনিধিকে। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলেনস্কি জানান, “ইউক্রেনকে ছাড়া ইউক্রেন সম্পর্কে কোনও আলোচনা বা চুক্তিকে আমরা স্বীকৃতি দিই না।” এদিকে,ট্রাম্পের এই রাশিয়া ‘প্রীতি’ নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং ন্যাটো সিঁদুরে মেঘ দেখছে।
হঠাৎ আমেরিকার এই নীতি পরিবর্তনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার দূরত্ব কমাতে সৌদির এই আলোচনাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এরপর একসঙ্গে কোনও সম্মেলন আয়োজন করতে পারেন ট্রাম্প ও পুতিন। বিশ্লেষকদের মতে, যদি ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তাহলে ইউরোপের দেশগুলোর জন্য বিরাট বার্তা হবে। ট্রাম্প প্রমাণ করে দেবেন বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমেরিকা কতটা শক্তিশালী