স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০৫ ফেব্রুয়ারি : আগামী সপ্তাহেই দেখা হতে পারে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমেরিকার প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, ১৩ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে সাক্ষাৎ হওয়ার কথা। সে দিন নৈশভোজে মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রাম্প। তার আগে ফ্রান্স সফর শেষ করে ১২ ফেব্রুয়ারি মোদী আমেরিকা পৌঁছবেন। ১৪ তারিখ পর্যন্ত আমেরিকায় থাকবেন তিনি।
শুল্কনীতির কারণে ট্রাম্পের সঙ্গে কানাডা, মেক্সিকো, চিনের সম্পর্কের টানাপড়েন ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। এক সময় ভারতের উপরেও শুল্ক চাপানোর হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে আসন্ন মোদী-ট্রাম্প সাক্ষাৎকারে আশার আলো
দেখছেন কূটনীতিকেরা। তাঁদের মতে, সমস্যার কারণগুলি মিটিয়ে নিয়ে সম্পর্কের উন্নতিতে জোর দেবে
দুই দেশ।
সূত্রের খবর, আসন্ন আলোচনায় দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, সামরিক শক্তি বাড়ানো, প্রাযুক্তিক সহযোগিতা, ভারতীয়দের জন্য ভিসায় আরও ছাড়— এ সব নিয়ে কথা হবে। ভারতকে আরও বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার জন্য চাপ দেবেন ট্রাম্প। এর আগে ভারতের বিরুদ্ধে আমেরিকান পণ্যের উপরে চড়া শুল্ক ধার্য করার অভিযোগ এনেছিলেন ট্রাম্প। সেই সূত্রে ভারতের উপরেও পাল্টা শুল্ক চাপানোর ইঙ্গিত দেন তিনি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাজেটে আমেরিকান সংস্থার পণ্যের উপরে শুল্ক কমানোর ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। ফলে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি মেটানোয় আগ্রহী ট্রাম্প। সূত্রের খবর, নয়াদিল্লিও বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে কথা বলতে চায়। আসন্ন সফরে আমেরিকার কর্পোরেট সংস্থাগুলি এবং সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে মোদী কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রকাশ্যে মোদীকে নিজের বন্ধু বলেন ট্রাম্প। দ্বিতীয় বার আমেরিকার ক্ষমতায় আসার পরে গত ২৭ জানুয়ারি ট্রাম্পকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মোদী। নিজের এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমরা একে অপরের বিশ্বস্ত বন্ধু। যৌথ লাভের অংশীদার। দু’দেশের মানুষ এবং বিশ্ববাসীর জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
ট্রাম্পের তরফে ইঙ্গিত মিলেছে, অবৈধ অভিবাসন নিয়ে তিনি মোদীর সঙ্গে কথা বলবেন। ভারত ইতিমধ্যেই আশ্বাস দিয়েছে, অবৈধ অভিবাসীরা ভারতীয় বলে প্রমাণিত হলে মোদী সরকার তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নেবেন।