Friday, December 6, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদহংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে ৪৫ গণতন্ত্রপন্থী কর্মীর কারাদণ্ড

হংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে ৪৫ গণতন্ত্রপন্থী কর্মীর কারাদণ্ড

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৯ নভেম্বর:   হংকংয়ের উচ্চ আদালত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে হওয়া এক বিচারে গণতন্ত্রপন্থী ৪৫ আন্দোলনকারীকে চার থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে।নাশকতা করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০২১ সালে মোট ৪৭ জন গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বেইজিং-আরোপিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে সাবেক আইনজ্ঞ বেনি তাইকে আন্দোলনের ‘সংগঠক’ হিসেবে শনাক্ত করা হয়।পশ্চিম কাউলুন হাকিম আদালতে ১১৮ দিন ধরে চলা বিচারের পর মে মাসে ১৪ গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারী দোষী সাব্যস্ত হন।

 তাদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক গর্ডন এনজি এবং আন্দোলনকারী ওয়েন চাও অন্যতম। বিচারের মুখোমুখি হওয়া ৪৭ আন্দোলনকারীর মধ্যে ৩১ জন দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলেন। আর বাকি দুইজনকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়।মঙ্গলবার সাজা পাওয়া ৪৫ জনকে চার থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের প্রণয়ন করা জাতীয় নিরাপত্তা আইনে বেনি তাইকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে দেওয়া সবচেয়ে দীর্ঘ কারাবাসের দণ্ড এটি।

হংকংয়ের বিশিষ্ট আন্দোলনকারী জোশুয়া ওংকে চার বছর আট মাসের আর চাওকে সাত বছর নয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যতম আন্দোলনকারী সাবেক সাংবাদিক গুয়েনাস হো-কে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক আন্দোলনকারী হেনড্রিক লুইকে চার বছরেরও বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।রয়টার্স জানিয়েছে, সাজা পাওয়া এসব আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ সাড়ে তিন বছর ধরে বন্দি আছেন। তাদের বন্দিত্বের এ সময়টি কারাদণ্ডের মেয়াদের মধ্যে ধরা হবে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।

রায় ঘোষণার আগে সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে কয়েকশ মানুষ জড়ো হন। তারা লাইন ধরে কোর্টরুমে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকেন, হাল্কা বৃষ্টির মধ্যে তাদের অনেকের হাতে ছাতি ছিল। রায় ঘোষণার সময় কোর্টরুমে উপচে পড়া ভিড় ছিল।এ রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণ ও আপশাশে কড়া পুলিশি প্রহরার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর, সাঁজোয়া যান ও অন্যান্য যানবাহন ছিল। আদালতের প্রবেশ পথে কয়েকজনকে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।

২০২০ সালে হংকংয়ের আইনসভার নির্বাচনের আগে সেরা প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য আন্দোলনকারীরা বেসরকারিভাবে ‘প্রাথমিক নির্বাচন’ এর আয়োজন করেছিলেন। মূলত এই নির্বাচন আয়োজনকে ঘিরেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। সরকারি কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেছেন, আন্দোলনকারীদের প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে তারা বিভিন্ন কাজে বিঘ্ন ঘটিয়ে সরকারকে অচল করে দেওয়ার চক্রান্ত করে রেখেছিলেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য