Wednesday, January 22, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদযুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন সেনেটর মার্কো রুবিও

যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন সেনেটর মার্কো রুবিও

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১২ নভেম্বর:   নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সেনেটর মার্কো রুবিওকে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।সোমবার রয়টার্সকে কয়েকজন কর্মকর্তার জানানো এ খবর সত্য হলে, জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ফ্লোরিডায় জন্ম নেওয়া রুবিও (৫৩) হবেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক হওয়া প্রথম লাতিনো।

বলা হয় যে, সম্ভাব্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ট্রাম্পের সংক্ষিপ্ত তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের মধ্যে রুবিও রাজনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পরিবর্তে শক্তি ব্যবহারের সবচেয়ে কট্টর সমর্থক। অতীতে তিনি চীন, ইরান ও কিউবার মতো যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ক্ষেত্রে শক্তি নির্ভর পররাষ্ট্র নীতির পক্ষে ওকালতি করেছিলেন।পরে গত কয়েক বছরে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে তিনি নিজের অবস্থান অনেকটা নমনীয় করে তোলেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টরা দেশটিকে ব্যয়বহুল ও নিরর্থক যুদ্ধের দিকে নিয়ে গেছেন। সেসব প্রশাসনের তুলনায় তিনি আরও সংযত পররাষ্ট্রনীতির পক্ষে কথা বলেছেন।

২০১৭ সালে ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন সেই তুলনায় তার এবারের প্রশাসন আরও অস্থির ও বিপজ্জনক এক বিশ্বের মুখোমুখি হবে। তাদের ইউক্রেইন ও মধ্যপ্রাচ্যের চলমান যুদ্ধের এবং যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু রাশিয়া ও ইরানের আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠা চীনের মোকাবেলা করতে হবে। ইউক্রেইনের সংকটই রুবিওর এজেন্ডাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারগুলোতে রুবিও বলেছেন, ইউক্রেইনের উচিত গত এক দশকে রাশিয়া তাদের যেসব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সেগুলো সব পুনরুদ্ধারের দিকে মনোযোগ না দিয়ে আলোচনার মাধ্যম সংকটের নিষ্পত্তি করে ফেলা।

হওয়া ইউক্রেইনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ৯৫০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা প্যাকেজের বিরুদ্ধে যে ১৫ জন রিপাবলিকান সেনেটর ভোট দিয়েছিলেন, রুবিও তাদের একজন। চলতি বছরের এপ্রিলে এই সহায়তা প্যাকেজ মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন পায়।রুবিওকে পরবর্তী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির মতো আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের জন্যও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হবে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য