Thursday, March 20, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদযুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন: দোদুল্যমান রাজ্যে হুমকি-সহিংসতা-ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মোকাবেলার প্রস্তুতি

যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন: দোদুল্যমান রাজ্যে হুমকি-সহিংসতা-ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মোকাবেলার প্রস্তুতি

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩১ অক্টোবর: যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আর মাত্র দিন কয়েক বাকী। এই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে নির্বাচনি কর্মকর্তারা বিভ্রান্তিকর তথ্য, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, হুমকি ও সম্ভাব্য সংঘাত মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।ফিলাডেলফিয়া, ডেট্রয়েট এবং আটলান্টায় ২০২০ সালের নির্বাচন-পরবর্তী বিশৃঙ্খলার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে হুমকি মোকাবেলা অভিযান জোরদার করা হচ্ছে। কারণ, গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর মধ্যে ডেমোক্র্যাটদের প্রধান ভোটকেন্দ্র ওই তিন নগরীই সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ভোট কারচুপির মিথ্যা অভিযোগের প্রধান লক্ষ্যবস্তু।

ফিলাডেলফিয়ার ব্যালট গণনা কেন্দ্র কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। ডেট্রয়েট ও আটলান্টার নির্বাচন কার্যালয়গুলো সুরক্ষিত করা হয়েছে বুলেটপ্রুফ কাঁচ দিয়ে।উইসকনসিনে নির্বাচন কর্মীদের ‘উত্তেজনা প্রশমনের’ কৌশল শেখানো হয়েছে। ভোটকেন্দ্রগুলো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে, যাতে প্রয়োজনে কর্মীরা বিক্ষোভকারীদের সামনে থেকে নিরাপদে সরে যেতে পারেন।অ্যারিজোনা ২০২০ সালে ছিল ভোট কারচুপির মিথ্যা অভিযোগের কেন্দ্রে। রিপাবলিকানরা সেখানে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল। এবার অ্যারিজোনার নির্বাহী কর্মকর্তা আদ্রিয়ান ফন্টেস সেখানে বিভ্রান্তিকর বা মিথ্যা্ তথ্য এবং ভুয়া ছবি ও ভিডিও মোকাবেলায় স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলে কাজ করছেন।

ফিলাডেলফিয়ার সিটি কমিশনার এবং দুই দলেরই অন্য আরও ৩০ জন নির্বাচন কর্মকর্তা বলেছেন, তারা ২০২০ সালের ঘটনার পুনরাবৃত্তির জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। ওই সময়ে ট্রাম্প ও তার আইনজীবীরা গভীর রাতের ভোটে কারচুপির মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিলেন। আর এই অভিযোগের কারণে ওই কাউন্টির ক্লাকরা ট্রাম্প সমর্থকদের কাছ থেকে হুমকি পাওয়া এবং হয়রানির শিকার হয়েছিল।

এবারের নির্বাচনের ফলকেও চ্যালেঞ্জ জানানোর পরিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্পের প্রচার শিবির কোনও উত্তর দেয়নি। এক বিবৃতিতে ট্রাম্প শিবির এবং রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির উর্ধ্বতন এক উপদেষ্টা কেবল বলেছেন, নির্বাচনের ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা’ নিশ্চিত করতে দল ২ লাখ ৩০ হাজার ভোট পর্যবেক্ষক, কর্মী এবং আইন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করেছে।তিনি বলেন, “ডেমোক্র্যাটরা নির্বাচনকে দুর্বল করতে কোনও চেষ্টা বাদ রাখবে না। তাই আমরা সুষ্ঠু এবং নিরাপদ একটি ভোট প্রক্রিয়ার জন্য লড়াই করছি, যাতে প্রতিটি বৈধ ভোট ঠিকমত গণনা হয়।”

নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন, সবচেয়ে বড় যেসব ভয় আছে তার অন্যতম হল নির্বাচনের ফল অত্যন্ত কাছাকাছি হওয়া। দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান খুবই সামান্য হলে অল্পসংখ্যক ব্যালট নিয়ে বিতর্ক তখন গড়াবে আদালতের লড়াইয়ে।রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি এরই মধ্যে ভোটিং প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিককে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নির্বাচনি কর্মকর্তাদেরকে একাধিক মামলায় জড়ানোর টার্গেট নিয়েছে।ডেমোক্র্যাটরা একে রিপাবলিকানদের নির্বাচনি ফল নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির পূর্বাভাস হিসাবেই দেখছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য