স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৮ অক্টোবর: কিছু ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে চার ইসরায়েলিকে মুক্তি দিতে গাজায় প্রাথমিকভাবে দুই দিনের এক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে মিশর।রোববার মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তা আল-সিসি একথা জানিয়েছেন। এদিকে এদিন গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হন।কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের পরিচালকদের উপস্থিতিতে গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা ফের শুরু হয়েছে। এই বৈঠকেই মিশর ওই প্রস্তাব দিয়েছে বলে সিসি জানিয়েছেন।গত বছরের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়ার পর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
রয়টার্স জানায়, মিশরের রাজধানী কায়রোতে এক সংবাদ সম্মেলনে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আব্দেলমাজিদ তেবোউনের পাশে দাঁড়িয়ে সিসি বলেন, একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা হিসেবে এই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করার জন্য ১০ দিনের মধ্যে আলোচনা শুরু করা উচিত।সিসির এই প্রস্তাবের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েল বা হামাসের দিক থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি। কিন্তু যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, “আশা করি হামাস এই নতুন প্রস্তাব শুনবে; কিন্তু যে কোনো সমঝোতা অবশ্যই এই যুদ্ধের অবসান ঘটাবে এবং ইসরায়েলি বাহিনীকে গাজা থেকে বের করে নিয়ে যাবে, এটিতে স্থির হয়ে আছে তারা।”
ইসরায়েল বলে আসছে, একটি সামরিক শক্তি হিসেবে হামাস নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত এবং গাজায় তাদের শাসক সত্তা বিলীন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ থামবে না।গত বছরের অক্টোবরে হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর গাজায় ভয়াবহ পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তারপর থেকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে অবিরাম হামলা চালিয়ে আসছে তারা। তাদের এসব হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৪৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এই যুদ্ধ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশর মাসের পর মাস ধরে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে গেলেও তাতে কোনো ফল হয়নি। মাঝখানে বিভিন্ন ঘটনায় কিছুদিন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি ওই তিন রাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা আবার শুরু হয়েছে।এরমধ্যে রোববার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৪৩ জন গাজার উত্তরাঞ্চলে নিহত হয়েছেন। এখানে হামাসের যোদ্ধারা আবার সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে বলে দাবি ইসরায়েলি বাহিনীর।