স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২২ অক্টোবর:যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস একে অপরের সঙ্গে তিক্ত বাকযুদ্ধ শুরু করেছেন।দোদুল্যমান রাজ্য পেনসিলভেইনিয়ায় প্রচার চালানোর সময় হ্যারিসের দিকেই তীর ছুড়ে ট্রাম্প বলেছেন, প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মানসিক জ্ঞান-বুদ্ধি পরীক্ষা (কগনিটিভ টেস্ট)করা উচিত।ওদিকে, হ্যারিস বলেছেন, ট্রাম্পের বার বার ব্যক্তিগত আক্রমণে প্রেসিডেন্ট পদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ট্রাম্প ‘অস্থিরচিত্ত’ বলেও অভিযোগ করেন হ্যারিস।পেনসিলভেইনিয়ার নির্বাচনী প্রচারণা সমাবেশে ট্রাম্প দাবি করেন, তার কোনও কগনিটিভ সমস্যা নেই। তিনি দুইবার মানসিক পরীক্ষা করিয়েছেন এবং দুই পরীক্ষাতেই পাস করেছেন।কিন্তু প্রতিপক্ষ কমলা হ্যারিসের মানসিক জ্ঞান-বুদ্ধিবৃত্তিক সমস্যা থাকার কথা ট্রাম্প আগে থেকেই বলে আসছেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে জর্জিয়ায় এক নির্বাচনি প্রচার সমাবেশে ট্রাম্প এও বলেছিলেন যে, বাইডেনের চেয়েও বড় কগনিটিভ সমস্যা আছে হ্যারিসের।
এবারও হ্যারিসের দিকে ইঙ্গিত করে পেনসিলভেইনিয়ার সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, “আমি আসলে প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে নামতে চাওয়া সব মানুষেরই মানসিক (কগনিটিভ) পরীক্ষা করার আহ্বান জানাচ্ছি; যে পরীক্ষা বয়সের ভিত্তিতে করা হবে না। আমার বয়স ৮০ না আমি ৮০ বছরের কাছাকাছিও না।”হ্যারিসের প্রচার শিবির বারবারই ট্রাম্পের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এসেছে এবং মেডিকেল রেকর্ড প্রকাশ না করার জন্য তার সমালোচনাও করেছে।রোববার হ্যারিস তার ৬০ তম জন্ম বার্ষিকী পালনের সময় এমএসএনবিসি তে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক কথার পাল্টা জবাব দেন। আমেরিকার জনগণের ট্রাম্পের চেয়ে ভাল কাউকে পাওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গত শনিবার পেনসিলভেনিয়ার সমাবেশে হ্যারিসকে `জঘন্য’ একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলে আক্রমণ করেছিলেন।এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে এমএসএনবিসি- এর ‘পলিটিক্স ন্যাশন’ প্রোগ্রামে হ্যারিস বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে একটি মানদণ্ড স্থির করতে হবে। সেটি কেবল আমাদের জাতির জন্য নয়, বরং বিশ্বে একটি জাতি হিসাবে আমাদেরকে যে মানদণ্ড স্থির করতে হবে সে বিষয়টি বুঝতে হবে।”অথচ আপনি আমার প্রতিপক্ষের মধ্যে যা দেখছেন-যিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট—আদতে তিনি তার প্রেসিডেন্সির মর্যাদাই ক্ষুণ্ন করছেন।”