স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৮ অক্টোবর: ইসরায়েল বলেছে, গাজায় অভিযান চলাকালে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হয়েছেন কিনা সেটি খতিয়ে দেখছে তারা।দুই কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা তথ্য পেয়েছে যে, সিনওয়ার খুব সম্ভবত নিহত হয়েছেন। তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।গতবছর ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে ঢুকে হামাস যোদ্ধাদের নজিরবিহীন হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং আরও শত শতজন জিম্মি হওয়ার ঘটনার হোতা এই সিনওয়ারই ছিলেন বলে ধারণা করা হয়।
গাজায় চালানো সামরিক অভিযানে ইসরায়েলের এক নম্বর টার্গেট ছিলেন এই সিনওয়ার। বিবিসি জানায়, গ্রাফিক কয়েকটি ছবিতে সিনওয়ারের মতো দেখতে একটি লাশ বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।ইসরায়েলের দুটো সম্প্রচারমাধ্যম কান এবং চ্যানেল ১২ ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সিনওয়ার নিহত হয়েছেন। তবে কয়েকটি খবরে বলা হচ্ছে সিনওয়ারের পরিচয় নিশ্চিত হতে একটি মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে।১৯৮৮ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের জেলে বন্দি থাকার সময় থেকে সিনওয়ারের রেকর্ড ইসরায়েলের হাতে আছে।
প্রাথমিক একটি খবরে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ বলেছে, “গাজায় তাদের অভিযান চলার সময়ে তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন সিনওয়ার কিনা সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই মুহূর্তে ওই সন্ত্রাসীদের পরিচয় নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।”সিনওয়ার সত্যিই হামলায় নিহত হয়ে থাকলে তা হবে ইসরায়েলের জন্য এক বিরাট সফলতা। ২০১১ সালে সিনওয়ার বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। এরপর তিনি হামাসের কট্টরপন্থি এবং অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা হয়ে ওঠেন।
সিনওয়ার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক পন্থায় সমস্যা সমাধান করা নয় বরং ইসরায়েলকে মোকাবেলায় সশস্ত্র সংঘাতের পথ বেছে নেন। গাজায় যুদ্ধ চলার বেশির ভাগ সময়েই সিনওয়ার ইসরায়েলি জিম্মিদের মানবঢাল বানিয়ে একটি সুড়ঙ্গ ঘিরে রেখে তাতে লুকিয়ে থেকেছেন বলে ধারণা করা হয়।বিশেষ করে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সিনওয়ার সর্বেসর্বা হয়ে ওঠার পর তার জন্য এই সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যদিও ইসরায়েলের আইডিএফ এর কয়েকটি খবরে বলা হয়েছে ওই স্থানে কোনও জিম্মিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।