স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৪ অক্টোবর: বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।গাজার হামাস পরিচালিত সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, রোববার নুসেইরাত আশ্রয় শিবির এলাকার আল-মুফতি স্কুলে গোলাবর্ষণের ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, বাস্তুচ্যুত শত শত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল আল-মুফতি স্কুলে।
অন্যদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, তারা ঘটনাটি ‘খতিয়ে’ দেখছে।ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযানের অংশ হিসেবে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গাজার উত্তরাঞ্চলে হামলা জোরদার করছে। তাদের হামলায় শত শত মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজা কর্তৃপক্ষ।বেইত হানুন, জাবালিয়া এবং বেইত লাহিয়ার বাসিন্দারা নিকটবর্তী গাজা সিটি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার কথা বলেছেন। ওই অঞ্চলের বৃহত্তম শহরের উপকণ্ঠে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক দেখা গেছে।
এর আগে গাজার উত্তরাঞ্চলে আল-শাতি ক্যাম্পের একটি রাস্তার মোড়ে খেলার সময় ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচ শিশু নিহত হয়।বিবিসির এক সংবাদদাতা স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া এক ব্যক্তিকে ড্রোন থেকে হামলা করা হয়। তাতেই ওই পাঁচ শিশু নিহত এবং সাতজন আহত হন।রামি নামে এক শিশুর আত্মীয় সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, যুদ্ধের কারণে জাবালিয়ায় তাদের বাড়িঘর ছেড়ে আল-শাতিতে আসতে হয়েছিল, কিন্তু সেখানেই শিশুটির প্রাণ গেল।
আইডিএফ এখনও ওই হামলার কথা স্বীকার করেনি। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, গত এক সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় শুধু জাবালিয়াতেই প্রায় দেড়শ মানুষ নিহত হয়েছে।গাজার ২৪ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ১৯ লাখ এই যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক বছর আগে হামাসকে নির্মূল করার কথা বলে হামলা শুরু করা ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ৪২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং ছিটমহলটিকে ধ্বংস করে প্রায় আবর্জনার স্তূপে পরিণত করেছে।