স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৯ অক্টোবর: ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলেছেন, লেবাননের প্রয়াত হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহর জায়গায় যার নতুন প্রধান হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, সেই হাসেম সাফিয়েদ্দিন সম্ভবত নিহত হয়েছেন।গত সপ্তাহে ইসরায়েলের বিমান হামলা সাফিয়েদ্দিন নিহত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা প্রকাশ করেছেন গ্যালান্ত।লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েল স্থল অভিযান শুরুর পর তা আরও জোরদার করতে থাকার মধ্যে গ্যালান্ত হিজবুল্লাহর আরেক ঊর্ধ্বতন নেতা নিহত হওয়ার এই ঘোষণা দিল।এ খবর সত্য হয়ে থাকলে তা হবে হিজবুল্লাহর জন্য আরেক বড় ধাক্কা। সাফিয়েদ্দিনকে হত্যা করার লক্ষ্য নিয়ে ইসরায়েল গত সপ্তাহে বৈরুতে বিমান হামলা চালায়।
গত মাসে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসাবে নাম শোনা যাচ্ছিল সাফিয়েদ্দিনের। কিন্তু বৈরুতের দাহিয়া এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলার পর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন সাফিয়েদ্দিন। তাকে আর জনসম্মুখে কিছু বলতে শোনা যায়নি। পাওয়া যায়নি কোনও খোঁজও।ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর উত্তর কমান্ড সেন্টারে কর্মকর্তাদের সামনে সংক্ষিপ্ত এক ভিডিওবার্তায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ত বলেন, “নাসরাল্লাহ নিহত হয়েছেন। তার সম্ভাব্য উত্তরসূরিও সম্ভবত নিহত হয়েছেন। হিজবুল্লাহ এখন একটি প্রধানহীন সংগঠন। হিজবুল্লাহর এখন কেউ সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেই, কেউ কাজ করার নেই।”তবে হিজবুল্লাহ এখনও সাফিয়েদ্দিনের বিষয়ে কোনওরকম মন্তব্য করেনি বা তার অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানায়নি।
হাসেম সাফিয়েদ্দিন নির্বাহী পরিষদের প্রধান হিসাবে হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক বিষয়গুলো দেখভালের দায়িত্ব পালন করেছেন। হিজবুল্লাহর সামরিক অভিযান পরিচালনাকারী জিহাদ কাউন্সিলেরও সদস্য তিনি।সম্পর্কে হাসান নাসরাল্লাহর কাজিন হাসেম সাফিয়েদ্দিন তার মতোই একজন ধর্মীয় নেতা। তিনিও মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর বংশধরের প্রতীক হিসাবে কালো পাগড়ি পরেন।জনসম্মুখে হাসেম সাফিয়েদ্দিনের বিবৃতিতে প্রায়ই হিজবুল্লাহর সামরিক অবস্থান ও ফিলিস্তিনিদের জন্য সংহতির বিষয়টির প্রতিফলন ঘটে।তবে সাফিয়েদ্দিন ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলীতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। ওই বৈঠকেই বিমান হামলা চালিয়ে নাসরাল্লাহকে হত্যা করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। কিন্তু সাফিয়েদ্দিনও ইসরায়েলের প্রধান টার্গেট ছিলেন।.