স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। ১৯ সেপ্টেম্বর : গোলা-বারুদের গন্ধে আকাশ ভারী মধ্যপ্রাচ্যের। হামাস নিধনে গাজায় রক্তগঙ্গা বইয়ে দিচ্ছে ইজরায়েল। এখন লেবাননে হেজবোল্লাদের বিরুদ্ধেও ‘অন্য যুদ্ধ’ শুরু করেছে ইহুদি দেশটি। ইজরায়েলের বুকে ভয়ংকর আঘাত হানার হুঙ্কার দিয়েছে ইরান। এই পরিস্থিতিতে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছিল তেহরান! সেই পরিকল্পনা মতো নাকি কাজে লাগানো হয়েছিল এক ইজরায়েলিকে। কিন্তু সেই ছক ধরে ফেলে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তাদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত জুলাই মাসে তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়েহর খুনের ঘটনার পর থেকে ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘাত তীব্র হয়েছে ইরানের। এছাড়া ইসলামিক দেশটির মদতে হাউথি, হেজবোল্লারাও ইজরায়েলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। রয়টার্স সূত্রে খবর, ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা শিন বেটের কাছে খবর আসে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু-সহ দেশের একাধিক নেতা-মন্ত্রীদের হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে। আর এতে হাত রয়েছে ইরানের। সেই মতো বহুদিন ধরেই সন্দেহজনক এক ইজরায়েলির গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছিল। অবশেষে বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ ওই ব্যক্তি ইজরায়েলের বহু গোপন তথ্য ইরানের কাছে পাচার করেছে। তবে অভিযুক্তের নাম, পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
উল্লেখ্য, হানিয়েহর হত্যার বদলা নিতে ইজরায়েলের উপর আক্রমণের নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের ‘সর্বশক্তিমান’ সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। ফলে যেকোনও সময় ইহুদি দেশটির উপর ভয়ংকর আঘাত হানতে পারে তেহরান। গত ৩০ জুলাই হানিয়েহর মৃত্যুর পর মোসাদ এজেন্টের বোমা লুকিয়ে থাকার তথ্য জানা যায় ইরানের সেনাবাহিনীর এলিট ‘রেভলিউশনারি গার্ড’ বাহিনীর আধিকারিকদের মারফত। দুমাস ধরে তেহরানে গা ঢাকা দিয়েছিল মোসাদের চর! তার পরে সুযোগ বুঝে খুন করা হয়েছে হানিয়েহকে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান। কিন্তু পরে জানা যায়, ঘরের মধ্যে বোমা ফেটেই মৃত্যু হয়েছে হানিয়েহ এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর। ইরানের প্রশাসনিক কর্তারা সাফ জানিয়েছেন, ঘরের মধ্যে বহু আগে থেকেই বোমা রাখা হয়েছিল। যদিও সরকারিভাবে এই হামলা নিয়ে ইজরায়েলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।