স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩১ মার্চ। ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় অবরুদ্ধ বন্দরনগরী মারিউপোলে একদিনের অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া।বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে বৃহস্পতিবার এ অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এ অস্ত্রবিরতি বজায় থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত বেরদিয়ানস্ক বন্দর হয়ে মারিউপোল থেকে জেপোরোজিয়া পর্যন্ত মানবিক করিডোর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০ টা থেকে খুলে দেওয়া হবে।মন্ত্রণালয় থেকে বেসামরিক নাগরিকদেরকে সফলভাবে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) সরাসরি অংশগ্রহণে করার প্রস্তাবও দেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছিল।সেইসঙ্গে সকাল ৬ টার আগে রাশিয়া, ইউএনএইচসিআর এবং আইসিআরসি-কে লিখিত নোটিস দিয়ে বৃহস্পতিবারের যুদ্ধবিরতিকে নিঃশর্তে সম্মান জানানোর নিশ্চয়তা দিতে ইউক্রেইন সরকারকেও আহ্বান জানায় রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইউক্রেইনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী মারিউপোলই সবচেয়ে বেশি বোমা হামলার শিকার হয়েছে।২০১৪ সালে রাশিয়ার দখল করে নেওয়া ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে একটি স্থলসেতু তৈরির জন্য রুশ বাহিনীর কাছে মারিউপোলের দখল নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।আগ্রাসনের শুরু থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই নগরীজুড়ে অন্তত ৫৯ টি ধর্মীয় স্থান ধ্বংস করার অভিযোগ করেছে ইউক্রেইন। মস্কো বরাবরই বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করে আসছে।
তবে বিবিসি বেশ কিছু সংখ্যক ধর্মীয় স্থান অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আলামত চিহ্নিত করতে পেরেছে। স্যাটেলাইট থেকে তোলা নতুন ছবিতে গোলাবর্ষণে মারিউপোলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের চিত্রও দেখিয়েছে বিবিসি। এই ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যেই সেখানে একদিনের অস্ত্রবিরতির ঘোষণা এল।এর আগে দুই পক্ষেই আস্থার সংকটের মধ্যে মারিউপোলে অস্ত্রবিরতি কার্যকরের কয়েকটি উদ্যোগ ভেস্তে যায়। তাই একদিনের নতুন এ অস্ত্রবিরতি টিকবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।তবে মারিউপোলে আটকা পড়া বাসিন্দাদের সহায়তা করতে সেখানে বাসের বহর যাত্রা করেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। রেডক্রসের এক মুখপাত্র বলেছেন, “বাসের বহর দনিপ্রো থেকে জেপোরোজিয়ায় অগ্রসর হচ্ছে সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত এবং বাসগুলো আগামীকালই মারিউপোলে প্রবেশ করবে বলে আশা করছি।”এই বহরগুলোতে ত্রাণ প্যাকেজ এবং চিকিৎসা সরবরাহও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। নিরাপদ করিডোর দিয়ে মানুষজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুক্রবার শুরু করা হবে বলে জানায় রেডক্রস। মুখপাত্র বলেন, “এই সহায়তা কার্যক্রম চালানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, মারিউপোলের হাজারো মানুষের জীবন এর ওপর নির্ভর করছে।”