Saturday, December 21, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদরাশিয়ায় দূর-পাল্লার হামলা চালাতে পশ্চিমা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ইউক্রেইন

রাশিয়ায় দূর-পাল্লার হামলা চালাতে পশ্চিমা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ইউক্রেইন

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩০ আগস্ট: পশ্চিমা প্রযুক্তি এবং অর্থের সহায়তায় ইউক্রেইন রাশিয়ার ভেতরে শত শত দূর-পাল্লার হামলা চালাতে সক্ষম হচ্ছে। যদিও নেটো মিত্রদেশগুলো এখনও যুদ্ধ আরও বিস্তৃত পরিসরে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ইউক্রেইনকে পশ্চিমাদের সরবরাহ করা অস্ত্র ও গোলাবরুদ ব্যবহারের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।ইউক্রেইন গত কয়েক মাস ধরে রাশিয়ার অভ্যন্তরে দূরপাল্লার হামলা বাড়িয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কয়েকবার তারা একাধিক ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার কৌশলগত নিশানাগুলোতে এসব দূর পাল্লার হামলা চালাচ্ছে।

রাশিয়ার ভেতরের এই নিশানাগুলোর মধ্যে আছে ব্মিান ঘাঁটি, তেল ও গোলাবারুদের ডিপো এবং কমাণ্ড সেন্টারগুলো।ইউক্রেইনের ফার্মগুলো এখন এক মাসে শত শত সশস্ত্র একমুখী আক্রমণাত্মক ড্রোন তৈরি করছে। পশ্চিমা দেশগুলোর চাইতে কম খরচে এই ড্রোন তৈরির পদক্ষেপ নিয়েছে ইউক্রেইন।একটি কোম্পানি বিবিসি-কে বলেছে যে, এ পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই তুলনামূলকভাবে অল্প খরচে রাশিয়ার যুদ্ধ অর্থনীতিতে একটি অসম প্রভাব সৃষ্টি করছে।

এই মিশনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বেশ কয়েকজন বিবিসি-কে ব্রিফিং দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেইনের অন্যতম বৃহত্তম একমুখী আক্রমণাত্মক ড্রোন নির্মাতারা এবং একটি বড় ডেটা কোম্পানি যেটি ইউক্রেইনের জন্য এ হামলা চালানোর জন্য সফ্টওয়্যার তৈরিতে সহায়তা করেছে।অস্ট্রেলিয়ার সাবেক আর্মি রয়াল ইঞ্জিনিয়ার ফ্রান্সিসকো সেরা-মার্টিনস বলছেন, কৌশলটি ইতোমধ্যে মস্কোর জন্য বিশাল সমস্যা তৈরি করছে। তিনি বিশ্বাস করেন, অতিরিক্ত বিনিয়োগ ইউক্রেইনের অনুকুলে যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেবে।

১৮ মাস আগে সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্টিনস এর টার্মিনাল অটোনমি সংস্থাটির কোনও অস্তিত্বও ছিল না। অথচ এখন এ সংস্থা ৭৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাল্লার ড্রোন তৈরি করছে। কোম্পানিটি মাসে শতাধিক দূর-পাল্লার একিউ৪০০ স্কিথ একমুখী আক্রমণাত্মক ড্রোন তৈরি করে। সেইসঙ্গে শতাধিক স্বল্প পরিসরের একিউ১০০ বেয়োনেট ড্রোনও তৈরি করে, যা কয়েকশ কিলোমিটার উড়তে পারে।এই ড্রোনগুলো কাঠের তৈরি এবং ইউক্রেইনের আগের আসবাবপত্রের কারখানাগুলোতে এসব ড্রোন তৈরি হচ্ছে।অস্ট্রেলিয়ার সাবেক আর্মি রয়াল ইঞ্জিনিয়ার সেরা-মার্টিনস তার ইউক্রেইনীয় সহ-প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে কোম্পানিটি স্থাপন করেছিলেন। ইউক্রেইনে এখন ড্রোন তৈরি করছে এমন অন্তত তিনটি কোম্পানির মধ্যে এটি একটি।

অন্যদিকে, প্যালান্টির যুক্তরাষ্ট্রের বড় একটি ডেটা বিশ্লেষণ কোম্পানি। ইউক্রেইনকে যুদ্ধে সহায়তা করার ক্ষেত্রে প্রথম পশ্চিমা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে এটি একটি।কামানের গোলা হামলার গতি এবং নির্ভূলভাবে নিশানায় আঘাত হানার ব্যবস্থা উন্নত করতে সফটঅ্যয়ার দেওয়ার মধ্য দিয়ে কোম্পানিটি ইউক্রেইনকে সহায়তা করা শুরু করেছিল। আর এখন এ কোম্পানি ইউক্রেইনকে তার দূরপাল্লার ড্রোন হামলার পরিকল্পনার জন্য নতুন নতুন সরঞ্জাম দিচ্ছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য