Monday, September 16, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদউত্তর কোরিয়া–রাশিয়া সম্পর্ক আরও গভীর করার অঙ্গীকার কিম ও পুতিনের

উত্তর কোরিয়া–রাশিয়া সম্পর্ক আরও গভীর করার অঙ্গীকার কিম ও পুতিনের

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৬ আগস্ট: রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক আরও গভীর করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। জাপানের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে কোরিয়ার স্বাধীনতা লাভের বর্ষপূতি উদ্‌যাপন উপলক্ষে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পাঠানো একটি বার্তায় কিম জং উন এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) স্বাধীনতার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট পুতিনের অভিনন্দন বার্তার জবাবে ওই বার্তা পাঠায় পিয়ংইয়ং।

গত জুনে পিয়ংইয়ংয়ে বৈঠক করেছেন কিম জং উন ও ভ্লাদিমির পুতিন। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে এটি ছিল দুজনের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক। সর্বশেষ বৈঠকে দুই পক্ষ ‘সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারত্ব’ নিয়ে একটি চুক্তিতে সই করে। পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ছিল এ চুক্তির বিষয়বস্তুর একটি।কেসিএনএ জানায়, পুতিন তাঁর অভিনন্দন বার্তায় বলেন, জাপানের বিরুদ্ধে সোভিয়েত সৈন্যদের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যে বন্ধনের সূচনা হয়, সেটি পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে চলেছে।

পুতিনকে পাঠানো বার্তায় কিম বলেন, ‘অভিন্ন শত্রুর বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী লড়াই থেকে দুই দেশের সেনাবাহিনী ও জনগণের বন্ধুত্বপূর্ণ অনুভূতির সূচনা এবং তা গভীর হয়েছে। এটি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতার সম্পর্ককে সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারত্ব এবং বিশ্বস্ত বন্ধুত্বের দিকে উত্তরণের ক্ষেত্রে শক্তিশালী চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে।’অভিন্ন শত্রুর বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী লড়াই থেকে দুই দেশের সেনাবাহিনী ও জনগণের বন্ধুত্বপূর্ণ অনুভূতির সূচনা এবং তা গভীর হয়েছে। এটি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতার সম্পর্ককে সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারত্ব এবং বিশ্বস্ত বন্ধুত্বের দিকে উত্তরণের ক্ষেত্রে শক্তিশালী চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে।

কিম জং উন, উত্তর কোরিয়ার নেতা  গত জুনে পিয়ংইয়ংয়ে বৈঠক করেছেন কিম জং উন ও ভ্লাদিমির পুতিন। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে এটি ছিল দুজনের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক। সর্বশেষ বৈঠকে দুই পক্ষ ‘সমন্বিত কৌশলগত অংশীদারত্ব’ নিয়ে একটি চুক্তিতে সই করে। পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ছিল এ চুক্তির বিষয়বস্তুর একটি।এ চুক্তি এমন এক সময় স্বাক্ষরিত হয়, যখন দক্ষিণ কোরিয়া, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে, মস্কোর তরফে অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সামরিক সহায়তার বিনিময়ে কিম রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করছেন।এদিকে কেসিএনএ জানায়, ১৯১০–১৯৪৫ সালের ঔপনিবেশিক শাসন অবসানের লক্ষ্যে জাপানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে লড়াই করা কোরীয় সেনাদের সম্মানে কিম একটি সমাধিসৌধ পরিদর্শন করেছেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য