স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৮ আগস্ট: হাসিনা অধ্যায় একেবারে শেষ। বাংলাদেশে গঠিত হল অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান হিসেবে শপথ নিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ডঃ মহম্মদ ইউনুস । ঢাকার বঙ্গভবনে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮ টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিদের শপথবাক্য পাঠ করান। ইউনুসের সঙ্গে শপথ নেন আরও ১৬ জন।
এদিন শপথ অনুষ্ঠানের জন্য ঢাকার বঙ্গভবনের দরবার হল আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিতে প্যারিস থেকে বৃহস্পতিবারই দুপুর ২টা ১০ মিনিট ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছন। তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাগণ হলেন –
- বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল
- মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান
- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা ও প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ
- প্রাক্তন বিদেশ সচিব তৌহিদ হোসেন
- বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইঞা
- নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন
- বিদেশ ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারীক প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত সুপ্রদীপ চাকমা
- সরকারি সংস্থা উবিনীগের (উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার
- জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধানরঞ্জন রায়
- হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রাক্তন নায়েবে আমির আ.ফ.ম খালিদ হাসান
- গ্রামীণ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরজাহান বেগম, ব্রতী প্রধান নির্বাহী আধিকারিক শারমিন মুরশিদ ও আলেম সমাজের প্রতিনিধি ফারুক-ই-আজম।
এদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। কারণ, দেশটি তার জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে মার্কিন বিদেশদপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ কথা বলেন। তাঁর কথায়, ”আমরা বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” তাঁর সংযোজন, ”আমরা সামনের দিনগুলোতে সবাইকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানাই। এখনও পর্যন্ত হতাহত এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় আমরা শোকপ্রকাশ করছি। আমরা এখন দৃষ্টি দিয়েছি সহিংসতা বন্ধের জন্য। জবাবদিহিতায় আমরা সমর্থন দেব।” প্রসঙ্গত, কোটা আন্দোলন নিয়ে হিংসা শুরুর পর থেকে পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।