স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, ২৬ মার্চ: পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে ‘রাশিয়াকে বাতিলের চেষ্টার’ অভিযোগ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পশ্চিমাদের এই বাতিলের সংস্কৃতির প্রমাণ দিতে গিয়ে হ্যারি পটার লেখিকা জে কে রাউলিংয়ের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন তিনি।রাউলিংয়ের নাম নিয়ে পুতিন বলেছেন, ব্রিটিশ এই লেখিকার মতো রাশিয়াও পশ্চিমাদের ‘বাতিল সংস্কৃতির’ শিকার।
বিবিসি জানায়, শুক্রবার রাশিয়ার টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে দেশের সাহিত্য ও সঙ্গীত নিয়ে কথা বলার সময় পুতিন পশ্চিমাদের ওই সমালোচনা করেন।তিনি বলেন, ‘আজ তারা আমাদের হাজার বছরের পুরনো দেশকে বাতিল করার চেষ্টা করছে। আমাদের সংস্কৃতি ও আমাদের দেশের মানুষকে বাতিল করার চেষ্টা করছে।”ইউক্রেইনে অভিযান চলার এই সময়ে পশ্চিমারা রাশিয়ার সংস্কৃতির প্রতীক বাতিল করে দিতে চাইছে, গীতিকারদের পরিহার করছে বলেও পুতিন অভিযোগ করেন।স্কাই নিউজ জানায়, রাশিয়ার ইউক্রেইন আগ্রাসনের জেরে সম্প্রতি পশ্চিমা কয়েকটি দেশে রুশ সঙ্গীত অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। পুতিন তার বক্তব্যের মধ্যদিয়ে এই বিষয়টিই সামনে এনেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পশ্চিমাদের এই কর্মকাণ্ডকে পুতিন ‘ক্যানসেল কালচার’ বা ‘বাতিলের সংস্কৃতি’ আখ্যা দিয়েছেন। আর এ প্রসঙ্গেই জনপ্রিয় ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাউলিংয়ের নাম নিয়ে পুতিন বলেছেন, রাউলিংও এই সংস্কৃতির শিকার হয়েছেন।সম্প্রতি লিঙ্গ ইস্যু নিয়ে মন্তব্য করায় খোদ ইউরোপেই কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন রাউলিং। তার মন্তব্যে রূপান্তরকামীদের অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেক্ষেত্রে আবার রাউলিং নিজ বক্তব্যের সমর্থনে টুইট করায় বিতর্ক বাড়ে। বহু পটার-প্রেমী রাউলিংকে বয়কট করার ডাকও দেন।এই বিষয়টির কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, তারা সম্প্রতি শিশুতোষ সাহিত্য ‘হ্যারি পটার’ সিরিজের লেখিকা রাউলিংকেও বাতিল করেছে। কারণ তিনি পশ্চিমের লিঙ্গ অধিকারের দাবিতে সোচ্চারদের সন্তুষ্ট করতে পারেননি।পশ্চিমাদের বাতিলের সংস্কৃতিকে নাৎসিবাদের সঙ্গেও তুলনা করে পুতিন বলেন, ‘১৯৩০’ এর দশকে জার্মানিতে নাৎসিরা বইপত্র পুড়িয়ে ফেলত। রাশিয়ার সঙ্গেও তেমনটি ঘটছে। “এমন কর্মকাণ্ড আমাদের দেশে চিন্তা করাও অসম্ভব,” বলেন তিনি।