স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, ২৬ মার্চ: রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেইনে সামরিক অভিযানের প্রথম পর্ব অনেকাংশেই শেষ। এখন নজর থাকবে পূর্ব ইউক্রেইনের দনবাস অঞ্চল পুরোপুরি ‘মুক্ত’ করার দিকে।
রাশিয়ার এই ঘোষণা থেকে এমন ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে যে, ইউক্রেইনে একমাসের যুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে মস্কো হয়ত এখন ক্ষুদ্র পরিসরে কিছু লক্ষ্য পূরণের পথে যাচ্ছে।রাশিয়ার সংবাদ সংস্থাগুলো প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ইউক্রেইনের লুহানস্ক অঞ্চলের ৯৩ শতাংশ এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলের ৫৪ শতাংশ এখন রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে আছে।শুক্রবার রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের মূল অভিযান পরিচালনা দপ্তরের প্রধান সের্গেই রুদস্কোই বলেছেন, “অভিযানের প্রথম ধাপের মূল কাজ শেষ হয়েছে। ইউক্রেইনের সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
“এতে করে আমরা এখন- আমি আবার জোর দিয়ে বলছি, আমাদের প্রধান লক্ষ্য – দনবাসের স্বাধীনতা অর্জনের মূল চেষ্টার দিকে মনোনিবেশ করতে পারব।”ইউক্রেইনের বিমানবাহিনী এবং বিমান-বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রুশ বাহিনী প্রায় পুরোই ধ্বংস করে দিয়েছে বলেও দাবি করেন সের্গেই রুদস্কোই। সেইসঙ্গে তিনি এও জানান যে, ইউক্রেইন যুদ্ধে অবরুদ্ধ করে রাখা নগরীগুলোতে অভিযানের সম্ভাবনা রাশিয়ার সেনাবাহিনী নাকচ করছে না।যদিও এই ধরনের অভিযান কোনও পরিকল্পনা করে করা হয়নি বলে জানান তিনি। রুদস্কোই বলেন, “প্রাথমিকভাবে, বেসামরিক লোকজনের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং ধ্বংসযজ্ঞ এড়াতে আমরা নগরীগুলোতে অভিযানের কোনও পরিকল্পনা করিনি। তারপরও এরকম অভিযানের সম্ভাবনা আমরা নাকচ করছি না।”
ওদিকে, ইউক্রেইনের আকাশসীমা বন্ধ করার কোনওরকম চেষ্টা চললে রাশিয়া তৎক্ষণাৎ এর জবাব দেবে বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়। ইউক্রেইন এর আগে তাদের আকাশে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণার জন্য পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোকে অনুরোধ জানিয়েছিল। তবে নেটো তাতে রাজি হয়নি।রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেই ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরু করেছেন। এতে ইউক্রেইনের অনেক ক্ষতি করতে পারলেও দেশটিকে এখনও বাগে আনতে পারেনি রাশিয়া।হামলার আগে যতটা দ্রুত সফলতা পাওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল, তার কিছুই পারেনি পুতিনের দেশ। উল্টো বিভিন্ন স্থানে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ছে রুশ সেনারা।