স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, ২৬ মার্চ: জার্মানি থেকে পাঠানো ১৫০০ স্ট্রেইলা বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও ১০০ এমজিথ্রি মেশিনগান যুদ্ধকবলিত ইউক্রেইনে পৌঁছেছে বলে দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে জার্মান প্রেস এজেন্সি।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বুধবার জানিয়েছিলেন, সরবরাহে দেরি হলেও আরও স্ট্রেইলা ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেইনে পাঠানো হয়েছে।ইউক্রেইনে রাশিয়ার আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় কোনো যুদ্ধকবলিত এলাকায় অস্ত্র না পাঠানোর ঐতিহাসিক নীতি থেকে সরে এসেছে জার্মানি। তারা ইউক্রেইনকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে।“এই পরিস্থিতিতে আমরা অন্যতম বড় অস্ত্র সরবরাহকারী, তবে এটি আমাদের গর্বিত করে তুলছে না কিন্তু ইউক্রেইনকে সাহায্য করতে এটি আমরা করে যাবো,” বেয়ারবক এমনটি বলেছেন বলে তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
স্ট্রেইলা ক্ষেপণাস্ত্র সাবেক কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানির সেনাবাহিনীর অস্ত্র। কম ওজনের এসব ক্ষেপণাস্ত্র ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য এবং কাঁধ থেকেই ছোড়া যায়। নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়া আকাশযান সহজেই এর লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।গত কয়েক দিনে ইউক্রেইন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের সামরিক চাহিদার ফর্দ বহুলাংশে বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন। দেশটি মূলত বিমান-বিধ্বংসী ও ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছে।সিএনএন জানিয়েছে, তাদের হাতে আসা তালিকায় দেখা গেছে, রাশিয়ার আগ্রাসী বাহিনীগুলোর সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেইনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য স্টিঙ্গার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ট্যাংক-বিধ্বংসী জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্রের চাহিদা বেড়ে গেছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর ৭ মার্চের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো সদস্য দেশগুলো প্রায় ১৭ হাজার ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং দুই হাজার বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেইনকে সরবরাহ করেছে।এমনকি অস্ত্রের চালানে রাশিয়ার হামলার হুমকির পরও নেটো দেশগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র ও সরঞ্জামের সরবরাহ চালিয়ে যাওয়ার পাইপলাইন খোলা রেখেছে।