স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ মার্চ। ইউক্রেইনে যুদ্ধ যদি আগামী বছর পর্যন্ত চলে তাহলে দেশটির দুই দশকের অর্থনৈতিক অর্জন মুছে যাবে আর এতে তাদের প্রতি ১০ জন নাগরিকের ৯ জনই দারিদ্র্যের কবলে ও চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে পারে।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বুধবার এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।ইউএনডিপির প্রশাসক আসি স্তাইনের জানান, ভেঙে পড়া অর্থনীতির সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি এড়াতে তার সংস্থা কিইভ সরকারের সঙ্গে কাজ করছে।তাদের লক্ষ্য হচ্ছে, ইউক্রেইনীয় পরিবারগুলোকে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাবার কিনতে অর্থ সাহায্য এবং মৌলিক পরিষেবাগুলো নিশ্চিত করে তাদের দেশ ছেড়ে পালানো থেকে বিরত রাখা।“সংঘাত যদি দীর্ঘ হয়, যদি চলতেই থাকে, তাহলে দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে দেখবো আমরা।
“স্পষ্টতই এই দৃশ্যকল্পের চরম সমাপ্তি হল সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির বড় পতন। এটি শেষ পর্যন্ত ৯০ শতাংশ লোককে দারিদ্র্যসীমার নিচে বা সেখানে যাওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে ফেলতে পারে,” নিউ ইয়র্ক থেকে রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন স্তাইনের।দারিদ্র্যসীমা সাধারণত সংজ্ঞায়িত হয় জনপ্রতি দৈনিক ক্রয়ক্ষমতা সাড়ে ৫ ডলার থেকে ১৩ ডলারের মধ্যে; ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর আগে আনুমানিক মাত্র ২ শতাংশ ইউক্রেইনীয়র দৈনিক ক্রয়ক্ষমতা ছিল সাড়ে ৫ ডলারের নিচে, বলেছেন তিনি।বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রুশ বাহিনী ইউক্রেইনে অন্তত ১০ হাজার কোটি ডলারের স্থাপনা ধ্বংস করেছে এবং ইউক্রেইনের ৫০ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে বলে দেশটির সরকারের শীর্ষ অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ওলেগ উৎশেঙ্কো জানিয়েছিলেন।
“১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে ইউক্রেইনের ১৮ বছরের উন্নয়নের যে অগ্রগতি তা মুছে যেতে পারে বলে আমাদের অনুমান,” বলেছেন স্তাইনের।