Saturday, July 27, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদকোরিয়া: সীমান্ত লঙ্ঘন উত্তরের, গুলি ছুড়ে সতর্কতা জানালো দক্ষিণ

কোরিয়া: সীমান্ত লঙ্ঘন উত্তরের, গুলি ছুড়ে সতর্কতা জানালো দক্ষিণ

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১১ জুন: উত্তর কোরিয়ার কিছু সেনা অল্প সময়ের জন্য সীমান্ত অতিক্রমের পর দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী গুলি ছুড়ে তাদের সতর্ক করেছে বলে সিউলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।কিছুদিন ধরে দক্ষিণ কোরিয়ায় আবর্জনা বোঝাই বেলুন পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া; এ নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই রোববার দুই দেশকে পৃথক করা অসামরিকৃত জোনে (ডিএমজি) এ ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) জানায়, রোববার স্থানীয় সময় দুপুর প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে উত্তর কোরিয়ার অনির্দিষ্ট সংখ্যক সেনা ডিএমজির সামরিক সীমানা রেখা অতিক্রম করে।জেসিএসের মুখপাত্র কর্নেল লি সং জুন জানান, সীমান্ত লঙ্ঘনের ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত নয় বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। ডিএমজির ওই এলাকাটি ঘন বনে ঘেরা থাকায় সীমান্ত চিহ্নগুলো অস্পষ্ট হয়ে গেছে।এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমাদের সামরিক বাহিনী সতর্ক করে সম্প্রচার ও গুলি ছোড়ার পরপরই তারা উত্তর দিকে চলে যায়, সেখানে অস্বাভাবিক কোনো চলাচল লক্ষ্য করা যায়নি।”

দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপ এক অনামা জেসিএস কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ২০ থেকে ৩০ জন সেনা কুড়াল ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি বহন করছিল, তারা হারিয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছিল।রয়টার্স জানিয়েছে, গত কিছুদিন ধরে উত্তর কোরিয়া আবর্জনা ভরা কয়েক হাজার বেলুন দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশে ছেড়েছে। এরমধ্যে গত শনি ও রোববার তারা প্রায় ছয়শর মতো বেলুন পাঠিয়েছে। এগুলোকে তারা উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশে দক্ষিণ কোরিয়ারা যারা পিয়ংইয়ং বিরোধী প্রচারাভিযানের জন্য লিফলেটবাহী বেলুন পাঠিয়েছে তাদের জন্য ‘উপহার’ বলে উল্লেখ করেছে।

উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন সামরিক তৎপরতার প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া ২০১৮ সালে আন্তঃকোরিয়া সামরিক চুক্তি স্থগিত করে। এরপর সিউল সীমান্তের আশপাশে প্রপাগান্ডা সামরিক তৎপরতা ফের শুরু করে। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত থেকে লাউডস্পিকার বাজিয়ে উত্তর কোরিয়া বিরোধী প্রচার প্রচারণা চালানো।গেল রোববার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের প্রভাবশালী বোন কিম ইয়ো জং দক্ষিণ কোরিয়ার লাউডস্পিকারে প্রচার ও লিফলেট ছড়ানোর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয় বলেছিলেন, “সীমান্তে লিফলেট ছড়িয়ে এবং লাউডস্পিকার বাজিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া উস্কানি দিলে অবশ্যই তাদেরকে উত্তর কোরিয়ার নতুন পাল্টা পদক্ষেপের মুখে পড়তে হবে।”

এমন উত্তেজনাকর অবস্থায় উত্তর কোরিয়ার সেনাদের সীমান্ত লঙ্ঘনের এই ঘটনা ‘ইচ্ছাকৃত’ না হওয়ায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়া এড়ানো গেছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এর আগেও উত্তর কোরিয়ার সেনাদের উদ্দেশ করে সতর্কতামূলক গুলিবর্ষণ করেছে। তবে এ ধরনের ঘটনা দুই কোরিয়ার বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমায়ই বেশি ঘটেছে।১৯৫০-৫৩ সাল পর্যন্ত হওয়া দুই কোরিয়ার যুদ্ধ কোনো শান্তিচুক্তির মাধ্যমে শেষ হয়নি, তাদের মধ্যে শুধু একটি যুদ্ধবিরতি হয়েছে; সেই বিষয়টি বিবেচনায় অন্তত কাগজে-কলমে দুই কোরিয়া এখনও যুদ্ধের মধ্যেই আছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য