Monday, February 10, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদইউক্রেইনের ল্যাবে রাখা জীবাণু ধ্বংসের পরামর্শ ডব্লিউএইচওর

ইউক্রেইনের ল্যাবে রাখা জীবাণু ধ্বংসের পরামর্শ ডব্লিউএইচওর

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ মার্চ।  যুদ্ধের সময় মানুষের মধ্যে ‘ছড়িয়ে পড়া’র ঝুঁকি এড়াতে ইউক্রেইনের পরীক্ষাগারগুলোতে সংরক্ষিত উচ্চ ঝুঁকির প্যাথোজেন বা জীবাণুগুলো ধ্বংস করে ফেলার পরমর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

জৈবসুরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান এবং সেখানকার শহরগুলোতে রুশদের গোলা বর্ষণের ফলে ওইসব পরীক্ষাগার ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেখান থেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।রয়টার্স জানিয়েছে, অন্য অনেক দেশের মতো ইউক্রেইনের পরীক্ষারগারগুলোতেও মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে ছড়াতে পারে এমন মারাত্মক সব রোগের ঝুঁকি কমাতে গবেষণা চলছে। কোভিড-১৯ নিয়েও পরীক্ষা করছে দেশটির কয়েকটি ল্যাব।এসব পরীক্ষাগারের কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ডব্লিউএইচও।রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে ডব্লিউএইচও ইমেইলে জানিয়েছে, রাশিয়ার সামরিক অভিযানের অনেক আগে থেকেই ইউক্রেইনের পরীক্ষাগারগুলোর সঙ্গে কাজ করে আসছে তারা।

‘হঠাৎ বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জীবাণু ছড়ানোর’ ঝুঁকি রোধে সহায়তার জন্য নিরাপত্তা কৌশলগুলো নিয়েও কাজ করছে তারা।“এই কাজের অংশ হিসাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইউক্রেইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ প্যাথোজেনের ‘সম্ভাব্য ছড়িয়ে পড়া’ ঠেকাতে তা ধ্বংস করে ফেলতে দৃঢ়ভাবে সুপারিশ করেছে।”ডব্লিউএইচও কবে ইউক্রেইনকে এই পরামর্শ দিযেছে অথবা সেখানকার পরীক্ষাগারে কী ধরনের জীবাণু বা বিষাক্ত দ্রব্য রয়েছে তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন জবাব এড়িয়ে গেছে জাতিসংঘের এই সংস্থা।এমনকি এই তাদের পরামর্শ বাস্তবায়ন করা হয়েছে কিনা রয়টার্সের এই প্রশ্নেরও জবাব দেয়নি ডব্লিউএইচও।এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও কিইভে ইউক্রেইনের কর্মকর্তারা এবং ওয়াশিংটনে তাদের দূতাবাস কোনো সাড়া দেয়নি।

দুই সপ্তাহ আগে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের পরীক্ষাগারগুলোর সক্ষমতা ক্রমবর্ধমান ‘তথ্যযুদ্ধের’ কেন্দ্রে রয়েছে।

বুধবারও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা অনেকদিন ধরে চলে আসা অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইনে একটি ‘বায়োওয়ারফেয়ার ল্যাব’ বা ‘জৈব অস্ত্রের গবেষণাগার’ পরিচালনা করে আসছে।তবে রাশিয়ার এই দাবি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে কিইভ ও ওয়াশিংটন।জাখারোভা জানান, ইউক্রেইনে রুশ বাহিনী যেসব নথি উদ্ধার করেছে তাতে দেখা গেছে পরীক্ষাগারের নমুনা ধ্বংস করার মাধ্যমে “সামরিক জীবাণু কর্মসূচি পরিচালনার প্রমাণ তড়িঘড়ি মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।”রয়টার্স নিরপেক্ষ সূত্র থেকে তার এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।এই অভিযোগের জবাবে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “ইউক্রেইন কঠোরভাবে এ ধরনের অভিযোগ নাকচ করছে।” যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মুখপাত্রও মস্কোর এই অভিযোগ উড়িয়ে বরং পাল্টা অভিযোগ করেছে যে, এর মাধ্যমে রুশ বাহিনী তাদের নিজেদের রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্র ব্যবহারের পটভূমি তৈরির চেষ্টা করছে।ডব্লিউএইচও-র বিবৃতিতে অবশ্য জৈবযুদ্ধের বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।রাশিয়ার অনুরোধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে শুক্রবার বিশেষ অধিবেশন বসছে যেখানে মস্কোর এই দাবি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা বলে জানিয়েছেন কূটনীতিকেরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য