স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৯ মে: ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, গাজায় জন্য যুদ্ধবিরতির নিয়ে আলোচনায় ইসরায়েলকে আর কোনো ছাড়া দিতে রাজি না তারা। ফিলিস্তিনি ছিটমহলটিতে ইসরায়েলের সাত মাসব্যাপী হামলায় বিরতি টানার লক্ষ্যে কায়রোতে দুইপক্ষের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা চলছে; তার মধ্যেই বুধবার রাতে এ কথা জানিয়েছে হামাস। কায়রোতে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় থাকলেও গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ট্যাংক ও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল
শহরটিতে বড় ধরনের আক্রমণ চালানোর হুমকি দিয়েছে তারা। মঙ্গলবার ইসরায়েলি বাহিনী গাজা ও মিশরের মধ্যবর্তী রাফা সীমান্ত ক্রসিং দখল করে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ত্রাণ পথটি বন্ধ করে দিয়েছে, এতে গাজার আহত রোগীদের বাইরে নিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথটিও বন্ধ হয়ে গেছে।কাতারে হামাসের রাজনৈতিক দপ্তরের সদস্য ইজ্জাত এল-রেশিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, সোমবার তারা যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাবে রাজি হয়েছে তার থেকে সরবে না।
রয়টার্স জানিয়েছে, এই প্রস্তাবে অনেকগুলো বিষয়ের মধ্যে গাজা থেকে কিছু ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলে বন্দি কিছু ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেওয়ার কথাও রয়েছে। রেশিক বলেছেন, “একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে ইসরায়েল আন্তরিক না। তারা রাফায় আক্রমণ ও ক্রসিংটি দখল করতে আলাপ-আলোচনাকে একটি আড়াল হিসেবে ব্যবহার করছে।” এ বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য আসেনি। হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করার পর ইসরায়েল জানিয়েছিল, যে তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য কারণ এর শর্তগুলোকে দুর্বল করে ফেলা হয়েছে।