স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৬ মে: গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে গতকাল রোববার সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের তাঁবুগুলো ভেঙে দিয়েছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু ভেঙে দেওয়া এবং কমপক্ষে ২৫ জন ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করার এক দিনের মাথায় এমন ঘটনা ঘটল।রোববার স্থানীয় সময় ভোর পাঁচটার দিকে সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢোকে। এর পর ক্যাম্পাসে পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে বিক্ষোভকারীদের তাঁবুগুলো ভেঙে ফেলে তারা। পুলিশ বলেছে, বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে সেখান থেকে সরে গেছেন।যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা দাবি জানাচ্ছে যেন কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেয়।যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের বছরটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বিক্ষোভের ঘটনা রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পুলিশ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে এখন পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে।রাজনৈতিক চাপের মুখে গত বৃহস্পতিবার বাইডেন ক্যাম্পাসের বিক্ষোভ নিয়ে নীরবতা ভেঙেছেন। বলেছেন, মার্কিন নাগরিকদের বিক্ষোভ করার অধিকার আছে, তবে সহিংসতা ছড়ানোর অধিকার নেই।
ইতিমধ্যে বিক্ষোভ ঠেকাতে নিউইয়র্ক সিটির কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ডাকা হয়েছে।স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রোববার অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করছেন। পুলিশের মোতায়েন করা ড্রোন বিক্ষোভকারীদের মাথার ওপর দিয়ে উড়ছিল। বক্তারা বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে না জড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।অস্টিনে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের আয়োজন করেছে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি কমিটি নামের একটি সংগঠন। অ্যাডাম নামে এর এক সংগঠক আল–জাজিরাকে বলেন, ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারছে যে আমেরিকান শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের রক্তের বিনিময়ে কোনো চুক্তি আমরা আর মেনে নেব না।’
ইরভিনে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আল–জাজিরার প্রতিনিধি ফিল ল্যাভেল জানান, সেখানকার পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত শান্ত। বিক্ষোভকারী এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মধ্যে আলোচনা চলছে।এদিকে পুলিশ বলেছে সপ্তাহান্তে নিউইয়র্ক এলাকায় ইহুদি উপাসনালয়গুলোতে অন্তত চারটি বোমা হামলার হুমকি এসেছে। তবে এসব হুমকির কোনোটিই বিশ্বাসযোগ্য বলে প্রমাণ মেলেনি।শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল বলেন, ‘যারা আতঙ্ক আর ইহুদিবিদ্বেষের বীজ বপন করছে, তাদের আমরা সহ্য করব না। ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের জন্য যারা দায়ী, তাদের জবাবদিহির মুখোমুখি করতে হবে।’