Sunday, September 8, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করল তুরস্ক

ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করল তুরস্ক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। ৩ মে : গাজায় অব্যাহত হামলায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের কথা জানিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত করেছে তুরস্ক।ফিলিস্তিনের ভুখণ্ডে ‘নিরবচ্ছিন্ন ও পর্যাপ্ত’ ত্রাণ সরবাহের সুযোগ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল রাখার কথা জানিয়েছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।বিবিসি জানিয়েছে, গত বছর দুই দেশের মধ্যে ৭০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। বিপুল এই বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করায় ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ বলেছেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান ‘স্বৈরশাসকের’ মত আচরণ করছেন।এক্সে এক পোস্টে কার্টজ বলেন, “এরদোয়ান তুর্কি জনগণ ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে অসম্মান করছেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিকেও তিনি উপেক্ষা করছেন।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্যের বিকল্প খুঁজতে ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। ধাক্কা সামলাতে স্থানীয় উৎপাদন এবং অন্য দেশ থেকে আমদানির জোর দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।তুরস্ক এক বিবৃতিতে বলেছে, “বাণিজ্য স্থগিতের ঘোষণার আওতায় সকল পণ্যই পড়বে। গাজায় ‘নিরবচ্ছিন্ন ও পর্যাপ্ত’ ত্রাণ সরবাহের সুযোগ না দেওয়া পর্যন্ত তুরস্ক কঠোর ও সন্দেহাতীতভাবে নতুন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করবে।”প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে তুরস্ক ১৯৪৯ সালে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেশটির সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে।২০১০ সালে ফিলিস্তিনপন্থি তুর্কি কর্মী ইসরায়েলি কমান্ডোদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হলে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে তুরস্ক। তুর্কি একটি জাহাজে গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সামুদ্রিক অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করলে ওই সংঘর্ষ বাঁধে।

২০১৬ সালে সেই সম্পর্ক আবার ফেরে। কিন্তু এর দুই বছর পর গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে বিক্ষোভের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের হত্যার কারণে তুরস্ক ও ইসরায়েল উভয়ই তাদের শীর্ষ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে।গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের কারণে ইসরায়েলের সমালোচনায় আরো কঠোর হয়েছেন এরদোয়ান। গত জানুয়ারিতে তিনি বলেন, হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহ যে সামরিক অভিযান শুরু করেছিলেন তা ‘হিটলারের চেয়ে কম নয়’।যুদ্ধের শুরু থেকে ইসরায়েলের ক্রমাগত হামলায় ৩৪ হাজার ৫০০ এরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য