Thursday, October 10, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদ‘আল-কাম্বার ৭৮৬’কে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা।

‘আল-কাম্বার ৭৮৬’কে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা।

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,  ৩০ মার্চ :  প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযান শেষে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে ইরানের পতাকাবাহী মাছ ধরার নৌকা ‘আল-কাম্বার ৭৮৬’কে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা। শুক্রবার আরব সাগরে এই অভিযানে নৌকাটির ২৩ জন পাকিস্তানি কর্মীকেও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে নৌসেনার পক্ষে।

নৌসেনার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে আরব সাগরের সোকোত্রা লেট থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে এই নৌকাটি অপহরণ করার উদ্দেশ্যে তাতে উঠে পড়েন ন’জন সশস্ত্র জলদস্যু। অপহরণের খবর পেয়ে নৌসেনার টহলদারি জাহাজ ‘আইএনএস সুমেধা’ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিছু ক্ষণ পরেই সেখানে পৌঁছয় যুদ্ধাজাহাজ ‘আইএনএস ত্রিশূল’। প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযানের পর তাঁদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয়। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, জাহাজের ২৩ জন পাকিস্তানি কর্মীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। নৌকাটিকে ভাল করে পরীক্ষানিরীক্ষার পর সেটিকে নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে নিয়ে এসে তার স্বাভাবিক কাজে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

আরব সাগরে বিগত কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন জাহাজ এবং নৌকাকে সোমালি জলদস্যুদের হামলার কবলে পড়তে হয়েছে। হুথি বিদ্রোহী এবং সোমালি জলদস্যুদের হামলায় সমুদ্রবাণিজ্য ক্রমাগত ব্যহত হচ্ছে। গত ১৭ মার্চ প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মাল্টার পণ্যবাহী জাহাজকে উদ্ধার করে ভারতীয় নৌসেনা। জাহাজের দখল নেওয়া ৩৫ জলদস্যুকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় জাহাজের ১৭ কর্মীকেও। এর আগে, এডেন উপসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া একটি জাহাজকে উদ্ধার করতে গিয়ে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলার মুখে পড়তে হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজকে। তা উপেক্ষা করেই লাইবেরিয়ার একটি বাণিজ্যে জাহাজকে ২৮ জন নাবিক-সহ উদ্ধার করা হয়। গত জানুয়ারি মাসে আরব সাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল ইরানের পতাকাবাহী মাছধরার একটি নৌকা। অভিযান চালিয়ে নৌকাটিকে উদ্ধার করার পাশাপাশি সেটিতে থাকা ১৯ জন পাকিস্তানিকে উদ্ধার করে ভারতের নৌসেনা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য