Friday, December 6, 2024
বাড়িবিশ্ব সংবাদমুখ থেকে ফেলা একটি চুইং গাম ধরিয়ে দিল খুনিকে!

মুখ থেকে ফেলা একটি চুইং গাম ধরিয়ে দিল খুনিকে!

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২৫ মার্চ :   চুয়াল্লিশ বছর আগের ঘটনা। মুখ থেকে ফেলা একটি চুইং গাম ধরিয়ে দিল খুনিকে!

আমেরিকার ওরেগন প্রদেশে ১৯৮০ সালের এক কলেজ পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুনের মামলা এত বছর ধরে অমীমাংসিত অবস্থায় পড়ে ছিল। মাল্টনোমা কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ১৯৮০ সালের ১৫ জানুয়ারি ১৯ বছর বয়সি বারবারা টাকারকে অপহরণ করে যৌন অত্যাচার চালানো হয়। তার পর মারতে মারতে খুন করা হয়। মাউন্ট হুড কমিউনিটি কলেজের ছাত্রী ছিলেন বারবারা। অ্যাটর্নি জানিয়েছেন, কলেজ চত্বরে পার্কং লটের কাছে একটি জায়গায় বারবারাকে খুন করেছিল রবার্ট প্লাইমটন। তার বয়স এখন ৬০। ঘটনার পরের দিন সকালে ক্লাস করতে এসে অন্য কলেজ পড়ুয়ারা বারবারার দেহ আবিষ্কার করেছিলেন।

গত সপ্তাহে রবার্টকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। সে অবশ্য অপরাধ অস্বীকার করেছে। তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন। তাঁদের বিশ্বাস, এই রায় খারিজ হয়ে যাবে।

কিন্তু এত বছর আগের এক ঘটনায় কী ভাবে খুনিকে ধরা হল? ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির কথায় জানা গিয়েছে, মামলাটি বহু পুরনো হলেও তদন্ত কখনওই বন্ধ হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘বারবারার দেহ ময়নাতদন্তের সময়ে তাঁর যোনি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ২০০০ সালে সেই নমুনা ওরেগন স্টেট পুলিশের কাছে পাঠানো হয় বিশ্লেষণের জন্য। ওই নমুনা থেকে অপরাধীর একটি ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করেছিল পুলিশের ক্রাইম ল্যাব।’’ এর অনেক পরে তদন্তকারী অফিসারেরা নজরদারি চালানোর সময়ে রবার্টকে মুখ থেকে চুইং গাম ফেলতে দেখেন। রবার্টের উপর তাঁদের সন্দেহ ছিল। তাঁরা ওই চুইং গামটি সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ক্রাইম ল্যাবে পাঠান। চুইং গাম থেকে যে ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া গিয়েছে, সেটি বারবারার যোনি থেকে সংগৃহীত নমুনা থেকে তৈরি ডিএনএ প্রোফাইলের সঙ্গে মিলে যায়। ২০২১ সালের ৮ জুন রবার্টকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। মামলার শেষে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। জুন মাসে সাজা ঘোষণার কথা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য