স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,৬ ফেব্রুয়ারি: সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় মিত্র কুর্দি বাহিনীর ছয় যোদ্ধা নিহত হয়েছে। সোমবার ভোররাতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) জানিয়েছে। ইরানের সমর্থন পাওয়া মিলিশিয়াদের ছত্রছায়ায় থাকা একটি গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেছে, জানিয়েছে বিবিসি।এসডিএফ জানিয়েছে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ দিয়ের আল-জোর এর আল-ওমর তেলক্ষেত্রে তাদের কমান্ডো একাডেমিতে হামলাটি চালানো হয়েছে। ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা নিকটবর্তী একটি এলাকা থেকে ড্রোন যোগে হামলাটি চালিয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।এসডিএফের মুখপাত্র ফরহাদ শামি সামাজিক মাধ্যম এক্স প্ল্যাটফর্মে করা এক পোস্টে বলেছেন, আল-ওমর তেলক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে এসডিএফের কমান্ডো একাডেমিতে ড্রোন আঘাত হেনেছে, এতে তাদের ছয় কমান্ডো যোদ্ধা নিহত হয়েছে।রয়টার্স জানিয়েছে, এই ড্রোন হামলার বিষয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি বা তাদের পক্ষে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা প্রকাশ করেনি। সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়তে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৮০০ সেনা দেশটিতে মোতায়েন আছে।
ইরানের সমর্থন পাওয়া বেশ কয়েকটি ইরাকি সশস্ত্র গোষ্ঠীর ছত্রছায়ায় থাকা ইসলামিক রেজিট্যান্স ইন ইরাক সোমবার হামলা দায় স্বীকার করেছে। ইসলামিক রেজিট্যান্স বলেছে, ৪ ফেব্রুয়ারি, রোববার তারা আল-ওমর তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।গত ২৮ জানুয়ারি জর্ডানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার দায় ওয়াশিংটন এই গোষ্ঠীটিকেই দিয়েছিল। এর প্রতিশোধ নিতে গত শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অন্তত ৮৫টি অবস্থানে আঘাত হানে যুক্তরাষ্ট্র। এসব হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয় যাদের অধিকাংশই মিলিশিয়া যোদ্ধা।
যুক্তরাষ্ট্র ওই হামলা পরিচালনা করার পর থেকে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মধ্যপ্রাচ্যে তাদের ঘাঁটিতে হামলা হল। পেন্টাগন বিবিসিকে নিশ্চিত করে জানিয়েছে, শনিবার সিরিয়ায় তাদের মিশন সাপোর্ট সাইট ইউফ্রেতিসে রকেট হামলা হয়েছে। তবে হামলায় কেউ হতাহত বা কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।২০১৯ সালে আইএসকে পরাজিত করার পর থেকে এসডিএফ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট বাহিনীর সমর্থনে সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা দিয়ের আল-জোরে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকাকে ‘সন্ত্রাসী হামলার’ মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তাদের। তাদের সামরিক একাডেমিতে হওয়া ড্রোন হামলার নিন্দা করে এসডিএফ বলেছে, “এ হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অধিকার আছে তাদের।”