স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ ফেব্রুয়ারি। উত্তেজনা নিরসনের পট প্রস্তুতে ইউক্রেইনের কাছে আপাতত নতুন কোনো সামরিক কর্মকাণ্ড শুরু না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে পুতিনের বৈঠকের পর এক ফরাসী কর্মকর্তা রুশ প্রেসিডেন্টের এ প্রতিশ্রুতির কথা জানান বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।রুশ নেতা ইউক্রেইন সীমান্তের কাছে বেলারুশে থাকা রাশিয়ার সেনাদের মহড়ার পরপরই ফেরত নিতেও রাজি হয়েছেন, নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন ফ্রান্সের ওই কর্মকর্তা।সোমবার ক্রেমলিনে ফরাসী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছয় ঘণ্টার বৈঠক শেষে পুতিন গণমাধ্যমে কথা বললেও এসব প্রতিশ্রুতির উল্লেখ করেননি।
মস্কো সত্যিই এ ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিনা অন্য কোনো সূত্র থেকে তা নিশ্চিত হতে পারেনি রয়টার্সও।সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়া ইউক্রেইন সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সেনা জড়ো করার পর ম্যাক্রোঁই পশ্চিমা দেশগুলোর প্রথম শীর্ষ নেতা, যার সঙ্গে পুতিনের বৈঠক হল।ইউক্রেইনে আগ্রাসন চালাতেই রাশিয়া লাখখানেক সৈন্য প্রস্তুত রেখেছে বলে আশঙ্কা পশ্চিমা দেশগুলোর।মস্কো প্রথম থেকেই ইউক্রেইনে তাদের হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে; যদিও তারা বলছে, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার নিরাপত্তা সংক্রান্ত দাবি না মানলে মস্কো সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে। তবে সে পদক্ষেপ কেমন হতে পারে, তার কোনো ধারণা দেয়নি তারা।
পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে ম্যাক্রোঁ ‘কৌশলগত প্রশ্নে খোলামেলা আলোচনায়’ রাজি হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ওই ফরাসী কর্মকর্তা। তবে সেই আলোচনায় কোন কোন বিষয় থাকতে পারে, সে সম্পর্কে কিছু বলেননি তিনি।
পুতিন পশ্চিমাদের কাছে যেসব দাবি জানিয়ে আসছেন, তার মধ্যে ইউক্রেইনকে নেটোর অন্তর্ভুক্ত না করা, রাশিয়ার সীমান্তে কখনোই নেটোর ক্ষেপণাস্ত্র বসানো হবে না এমন আশ্বাস এবং পূর্ব ইউরোপ থেকে পশ্চিমা সামরিক জোটটির পিছু হটাসহ ইউরোপের নিরাপত্তা কাঠামোয় বড় ধরনের রদবদলের কথা আছে।
ফ্রান্সের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুই প্রেসিডেন্টের আলোচনায় তথাকথিত নরম্যান্ডি কাঠামোর অধীনে কূটনীতি জোরদারে মতৈক্যও হয়েছে; এই প্রক্রিয়ায় রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্যে আলোচনায় ফ্রান্স-জার্মানি মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করবে।