Saturday, March 15, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদইসরায়েল-হামাসযুদ্ধ: গাজায়ত্রাণ, জিম্মিদের ওষুধ নিয়ে চুক্তি

ইসরায়েল-হামাসযুদ্ধ: গাজায়ত্রাণ, জিম্মিদের ওষুধ নিয়ে চুক্তি

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৭ জানুয়ারি: যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় আরও মানবিক ত্রাণ প্রবেশ অনুমোদন করতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে বলে কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা জানিয়েছেন।তারা জানান, কাতার ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় হওয়া এ চুক্তি অনুযায়ী হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের ওষুধ সরবরাহ করা হবে। এর বিনিময়ে গাজায় আরও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ অনুমোদন করবে ইসরায়েল।তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ ও হামলায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস শাসিত গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, ভূখণ্ডটিতে প্রায় দুর্ভিক্ষাবস্থা বিরাজ করছে।কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি ত্রাণ নিয়ে এই সমঝোতা হওয়ার কথা ঘোষণা করেন, জানিয়েছে বিবিসি।

চুক্তি অনুযায়ী, বুধবার কাতারের রাজধানী দোহা থেকে মানবিক ত্রাণবাহী বিমানগুলো মিশরে যাবে, সেখান থেকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং হয়ে সেগুলো গাজায় প্রবেশ করবে আর সেগুলো বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। গাজার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও সংকটে থাকা এলাকাগুলোতে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন আনসারি। একই সময় ইসরায়েলি জিম্মিদের কাছেও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হবে।রয়টার্স জানিয়েছে, কি পরিমাণ ত্রাণ গাজায় পাঠানো হচ্ছে ও বেসামরিকদের কি ত্রাণ দেওয়া হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি আনসারি।ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, ইসরায়েলের দেওয়া একটি তালিকার ভিত্তিতে ফ্রান্স থেকে ওষুধগুলো কেনা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কাতার বিমান বাহিনীর দু’টি বিমান বুধবার মিশরে যাবে।

এর আগে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্রাইসিস সেন্টারের প্রধান ফিলিপ লালিও জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চলছিল আর এ চুক্তির প্রাথমিক ধারণা এসেছিল কিছু ইসরায়েলি জিম্মির পরিবারগুলো থেকে।বেশ কয়েক মাসের জন্য নির্ধারিত ওষুধের চালান ফ্রান্সে রাখা হয়েছিল, সেগুলো গাজায় বন্দি প্রায় ১৩২ জন জিম্মির মধ্যে ৪৫ জনকে দেওয়া হবে। মাঠ পর্যায়ে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস বিষয়টি তদারকি করবে।গাজায় যে সব জিম্মি বন্দি হয়ে আছে তাদের মধ্যে ফ্রান্স ও ইসরায়েলের তিনজন দ্বৈত নাগরিক আছেন। তবে তাদের কারও ওষুধের জরুরি প্রয়োজন নেই বলে লালিও জানিয়েছেন। ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্রাইসিস সেন্টার ত্রাণ উদ্যোগ সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য