Wednesday, February 12, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদগাজা যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের কূটনৈতিক তৎপরতা

গাজা যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের কূটনৈতিক তৎপরতা

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,‌  ৬ জানুয়ারি: ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের বাইরে ফিলিস্তিনের ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীর, লেবানন ও লোহিত সাগরের জাহাজ চলাচল জলপথে ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে নতুন কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ।এ উদ্দেশ্যে কূটনৈতিক চাপ তৈরি করতে শুক্রবার থেকে মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও ইউরোপের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক জোসেপ বোরেল। সপ্তাহব্যাপী এ সফরের শুরুতে শুক্রবার তুরস্ক গিয়েছেন ব্লিনকেন। তুরস্ক গাজা যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া রোধ করার বিষয়ে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে। সফরে ব্লিনকেন ইসরায়েল, জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও মিশর যাবেন। তার ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরেও যাওয়ার কথা রয়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।  ইউরোপের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান বোরেল এখন লেবাননের রাজধানী বৈরুতে রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার গাজা যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া বন্ধের এ উদ্যোগ নিয়ে বলেছেন, “যুদ্ধ গাজার বাইরে ছড়িয়ে পড়াতে কারও স্বার্থ নেই, ইসরায়েলের না, ওই অঞ্চলের না, বিশ্বেরও না।”

ইসরায়েলকে ধ্বংসের শপথ নেওয়া হামাসকে সমর্থন দিচ্ছে ইরান। ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের সমর্থিত অন্য মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো দেশগুলোতে থাকা মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে। লেবাননের ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলে আর ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হুতিরা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ জলপথ লোহিত সাগর অনিরাপদ করে তুলেছে, তারা উভয়েই গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে এসব তৎপরতা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে।   হামাসের স্পন্সর বা গোষ্ঠীটির আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ব্যাঘাত ঘটায় এমন যে কোনো কিছুর বিষয়ে তথ্য দিলে সর্বোচ্চ এক কোটি ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন বন্ধ করা ও তাদের ভূমি দখলের অবসান ঘটানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া। “আমরা আশা করছি যে জনাব ব্লিনকেন গত তিন মাস থেকে শিক্ষা নিয়েছেন আর জায়নবাদী দখলদারদের প্রতি অন্ধ সমর্থন দিয়ে ও তাদের মিথ্যায় বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্র যে ভুলগুলো করেছে তার মাত্রা উপলব্ধি করেছেন, এর পরিণামে গাজায় আমাদের লোকজনের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হচ্ছে,” এক ভাষণে বলেছেন হানিয়া।লেবাননের শক্তিশালী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসারাল্লাহ শুক্রবার জানিয়েছেন, তাদের বাহিনী ৮ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের সীমান্ত এলাকায় প্রায় ৬৭০টি সামরিক অভিযান চালিয়েছে আর ইসরায়েলের বহু সামরিক যান ধ্বংস করেছে।

ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন হুতিরা ১৯ নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে, এ কারণে বিশ্বের প্রধান প্রধান জাহাজ চলাচল কোম্পানিগুলো পুরো আফ্রিকা ঘুরে দীর্ঘ নৌপথে জাহাজ চালাতে বাধ্য হচ্ছে।ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত হামাসের ৮ হাজার যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। তবে এ সময় ১৭৫ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে।ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওভ গালান্ট জানিয়েছেন, গাজা অভিযানের পরবর্তী ধাপে তারা ভূখণ্ডটির উত্তরাঞ্চলে টানেল ধ্বংস করার ও দক্ষিণাঞ্চলে অবশিষ্ট ১৩২ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে উদ্ধারের দিকে মনোযোগ দেবে।দেশটির সরকারের একজন কর্মকর্তা শুক্রবার জানিয়েছেন, গাজায় এ পর্যন্ত ২৫ জন ইসরায়েলি জিম্মি নিহত হয়েছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য