Friday, February 14, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদইউক্রেইনে আগ্রাসনের অজুহাত হিসেবে ‘বানানো ভিডিও’ দেখাতে পারে রাশিয়া: যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেইনে আগ্রাসনের অজুহাত হিসেবে ‘বানানো ভিডিও’ দেখাতে পারে রাশিয়া: যুক্তরাষ্ট্র

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ ফেব্রুয়ারি। ইউক্রেইনে হানা দেওয়ার অজুহাত সৃষ্টিতে রাশিয়া বেশ কয়েকটি কৌশল নিয়ে কাজ করছে; এর মধ্যে সাজানো হামলার একটি বানানো ভিডিও হাজির করার পরিকল্পনাও তাদের আছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

পূর্ব ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তে মস্কোর নিন্দা জানানোর পরপরই বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন এ অভিযোগ করে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেইনের কাছ থেকে ক্রিমিয়ার দখল নেয়; ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলে সক্রিয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরও সমর্থন দিয়ে আসছে তারা।সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউক্রেইন সীমান্তে প্রায় এক লাখের মতো সৈন্য জড়ো করা মস্কোর চাওয়া, কিয়েভকে কখনোই নেটোতে নেওয়া হবে না, পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে এ সংক্রান্ত নিশ্চয়তা।

এর প্রত্যুত্তরে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, কিয়েভের শিগগিরই নেটোতে যোগ দেওয়ার তেমন সম্ভাবনা না থাকলেও নিজেদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার ইউক্রেইনের থাকা উচিত।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ধারণা, ইউক্রেইনে আক্রমণকে বৈধতা দিতে রাশিয়া একটি জাল ভিডিও হাজির করতে পারে, যাতে একটি বিস্ফোরণের পর বেদনাদায়ক পরিস্থিতির চিত্র এবং ইউক্রেইন বা তাদের মিত্রদের অস্ত্রশস্ত্র দেখানো হতে পারে।

“ওই ভিডিওতে অভিনেতাদের কোনো একটি ঘটনায় নিহতদের জন্য শোক করতে দেখা যেতে পারে, মৃতদেহ দেখানো হতে পারে,” এমএসএনবিসিকে এমনটাই বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জনাথন ফিনার।

তার এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ; বার্তা সংস্থা তাসকে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আগেও এই ধরনের অভিযোগ করেছে, কিন্তু কিছুই হয়নি।মস্কো প্রথম থেকেই ইউক্রেইনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর চেষ্টা তাদের নেই বলে দাবি করে আসছে।

তারা বলছে, ইউক্রেইনে আগ্রাসনের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই, তবে তাদের (রাশিয়া) নিরাপত্তা দাবিগুলো পূরণ না হলে তারা সামরিক পদক্ষেপ নেবে। যদিও সেসব পদক্ষেপ কেমন হবে, তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি তারা।  বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন উত্তেজনা প্রশমনে তাদের আহ্বানকে ওয়াশিংটন অবজ্ঞা করছে বলেও অভিযোগ করে। এর আগের দিনই যুক্তরাষ্ট্র পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় তিন হাজারের মতো নতুন সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিল।

“উত্তেজনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে যে এসব পদক্ষেপ নয়, তা নিশ্চিত। উল্টো এগুলো সেই পদক্ষেপ, যা উত্তেজনা বাড়ানোর দিকে ধাবিত করে।“আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমাগত ইউরোপ মহাদেশে উত্তেজনা বৃদ্ধি বন্ধে আহ্বান জানিয়ে এসেছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা তা-ই (উত্তেজনা বৃদ্ধি) করে আসছে,” বৃহস্পতিবার এমনটাই বলেন পেসকভ।

ইউক্রেইন সংকটে রাশিয়া এরইমধ্যে চীনের সমর্থন পেয়েছে।বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের পর চীন বলেছে, তারা যুদ্ধ চায় না, তবে যুক্তরাষ্ট্র ও নেটোর কাছে মস্কো যে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চাইছে, তার প্রতি সমর্থন আছে তাদের।  শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা; বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকসের উদ্বোধনীতে অংশ নিতে পুতিনের চীন যাওয়ার কথা রয়েছে।মস্কো-বেইজিংয়ের এ ঘনিষ্ঠতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে হুঁশিয়ার করে বলেছে, চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ইউক্রেইন আগ্রাসনের পরিণতি সামলানোর ক্ষেত্রে কাজে আসবে না, উল্টো রাশিয়ার অর্থনীতি আরও খারাপ হবে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য