স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৩ ডিসেম্বর: ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের বাহিনীগুলো রাশিয়ার তিনটি এসইউ-৩৪ যুদ্ধ-বোমারু বিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে।শুক্রবারের এ ঘটনাকে ২২ মাস ধরে চলা যুদ্ধের অন্যতম সাফল্য বলে দাবি করেছেন তারা।রাশিয়ার সামরিক বাহিনী এ ঘটনার কোনো উল্লেখ করেনি। কিন্তু দেশটির ব্লগাররা এ ক্ষতির কথা স্বীকার করেছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।বিশ্লেষকদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে সম্ভবত এ সাফল্য এসেছে।কিন্তু রয়টার্স এসব প্রতিবেদনের কোনোটির সত্যাসত্য স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি।ইউক্রেইনের বিমান বাহিনীর কমান্ডার মাইকোলা ওলেশ্চুক টেলিগ্রাম অ্যাপে বলেছেন, “আজ (শুক্রবার) দুপুরে দক্ষিণাঞ্চলীয় যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার তিনটি এসইউ-৩৪ যুদ্ধ-বোমারু বিমান ছেঁটে দেওয়া হয়েছে!”
বিমান বাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইহানাত দেশটির জাতীয় টেলিভিশনে একটি ‘দারুণভাবে পরিকল্পিত অভিযান’ বলে বর্ণনা করেছেন। উক্রেইনীয় বাহিনী অনেকদিন ধরে এ ধরনের কোনো সাফল্য পাচ্ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। রাশিয়ার বোমারু ও অন্যান্য হামলার জন্য ব্যবহৃত জঙ্গি বিমানগুলোর মধ্যে এসইউ-৩৪ সর্বাধুনিক বলে জানান তিনি।জেলেনস্কি তার রাত্রিকালীন ভিডিও ভাষণে খেরসন অঞ্চলে রাশিয়ার এই বিমানগুলো ভূপাতিত করার জন্য ওদেসা অঞ্চলের বিমান-বিধ্বংসী ইউনিটগুলোর প্রশংসা করেছেন।মস্কো ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে আক্রমণ শুরু করার প্রথম দিনগুলোতেই খেরসন অঞ্চলটি তাদের দখলে চলে গিয়েছিল। পরে পাল্টা হামলায় ইউক্রেইনীয় বাহিনী অঞ্চলটি পুনরুদ্ধার করার দাবি করে আর তারপর নভেম্বরে খেরসনের নিপ্রো নদীর পশ্চিম পাড়ে নিজেদের অবস্থান প্রতিষ্ঠিত করে।
রাশিয়াভিত্তিক ইউরেশিয়া ডেইলি জানিয়েছে, ইউক্রেইনের ভাষ্য বিশ্বাসযোগ্য, কিইভ সম্ভবত নিপ্রো নদীর পশ্চিম পাশ থেকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল।যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র আকাশে ১৬০ কিলোমিটার উচ্চতার মধ্যে যে কোনো লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম।রাশিয়ার বোমারু বিমানগুলো ওই অঞ্চলে শতাধিক বোমাবর্ষণ করে ফেরার সময় পাল্টা হামলার শিকার হয় বলে দাবি করেছেন ইউক্রেইনের আরেক কর্মকর্তা।ইউক্রেইনের উত্তরপূর্বাঞ্চলে ও দক্ষিণাঞ্চলে রাশিয়ার দখলকৃত এলাকাগুলো পুনরুদ্ধারে এক বছর আগে কিইভের বাহিনী যে সাফল্য দেখিয়েছিল পরবর্তীতে তারা আর তেমনটি দেখাতে পারেনি। জুনে পূর্বে ও দক্ষিণে শুরু করা পাল্টা হামলায়ও তেমন সাফল্য আসেনি। জেলেনস্কিও আশানুরূপ সাফল্য পাওয়া যায়নি বলে স্বীকার করেছেন।