Saturday, January 18, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদমেক্সিকো সীমান্ত এলাকায় ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করলেন অ্যারিজোনা গভর্নর

মেক্সিকো সীমান্ত এলাকায় ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করলেন অ্যারিজোনা গভর্নর

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৬ ডিসেম্বর: যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার ডেমোক্রেটিক গভর্নর ক্যাটি হবস বলেছেন, তিনি অঙ্গরাজ্যটির মেক্সিকো–সংলগ্ন সীমান্তে স্থানীয় ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীর সেনাদের পাঠাচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকার অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে রাজি হচ্ছে না। এ জন্য স্থানীয়ভাবে তাঁর নিজেকেই পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।সম্প্রতি অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের বড় সীমান্ত পারাপার ‘লুকভিল ক্রসিং’ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডেমোক্র্যাট নেতা এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ক্রসিংটি খুলে দেওয়ার জন্য সহায়তার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে হবসের অভিযোগ, বাইডেন প্রশাসন ক্রসিংটি খুলে দিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে রাজি হয়নি।

গতকাল শুক্রবার এক আদেশে ক্যাটি হবস বলেন, ‘আবারও আমাদের সীমান্ত এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব পালন করতে কেন্দ্রীয় সরকার অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। এ নির্বাহী আদেশের মধ্য দিয়ে আমি ঘোষণা দিচ্ছি, কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে ব্যবস্থা নেবে না, সেখানে আমি পদক্ষেপ নেব।’ক্যাটি হবসের হিসাব অনুসারে, লুকভিল ক্রসিং আবারও চালু, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল মোকাবিলা এবং একটি নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও মানবিক সীমান্ত নিশ্চিত করতে  অ্যারিজোনার জন্য সরঞ্জাম ও জনবল প্রয়োজন।গভর্নর অভিযোগ করেন, বারবার সহায়তার জন্য অনুরোধ জানানোর পরও বাইডেন প্রশাসন অ্যারিজোনা সীমান্তে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।লুকভিল ক্রসিং বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সীমান্তের দুই পারের বাসিন্দাদের ওপরই প্রভাব পড়েছে। কারণ, তাঁরা এ ক্রসিং দিয়ে বৈধ অভিবাসী হিসেবে প্রবেশ করতেন এবং আয়-উপার্জন করতেন।গত সপ্তাহে অঙ্গরাজ্যের দুই সিনেটরের সঙ্গে যৌথভাবে হোয়াইট হাউসকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন ক্যাটি হবস। ওই চিঠিতে লুকভিল ক্রসিং আবারও খুলে দিতে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের মোতায়েনের আহ্বান জানানো হয়েছিল। ওই দুই সিনেটর হলেন ডেমোক্র্যাট সদস্য মার্ক কেলি ও স্বতন্ত্র কিরস্টেন সিনেমা।

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অভিবাসন ইস্যুটি বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনে ৮১ বছর বয়সী বাইডেনের বিরুদ্ধে ৭৭ বছর বয়সী রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।ট্রাম্প বলছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করবেন।আর বাইডেনের জন্য বিষয়টি জটিল হবে। কারণ, বাইডেন দুই ধরনের চাওয়ার মধ্যে ভারসাম্য করতে চাইছেন। অনেক মার্কিন নাগরিক চান, সীমান্তে কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকুক। আর বাইডেনের দলের সদস্যরা চান, সীমান্তে আরও বেশি মানবিক অভিবাসনব্যবস্থা চালু করা হোক।তবে অভিবাসনব্যবস্থায় মূল যে সংকট আছে বলে সমালোচকেরা মনে করেন, তা মোকাবিলায় কোনো পক্ষ প্রস্তুত নয় বলে মনে হচ্ছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য