Monday, February 10, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদবিপুল পরিমাণ কোভিড হাসপাতাল বর্জ্যে হুমকিতে স্বাস্থ্য: ডব্লিউএইচও

বিপুল পরিমাণ কোভিড হাসপাতাল বর্জ্যে হুমকিতে স্বাস্থ্য: ডব্লিউএইচও

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ ফেব্রুয়ারি।  মহামারী শুরুর পর থেকে ফেলে দেওয়া সিরিঞ্জ, কোভিড শনাক্তে ব্যবহৃত কিট ও ভ্যাকসিনের পুরনো বোতলসহ লাখ লাখ টনের মেডিকেল বর্জ্যের স্তূপ মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমনটাই বলেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বিপুল পরিমাণ এই বর্জ্যের কারণে স্বাস্থ্য কর্মীদের দগ্ধ বা সুই-কাঠির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হওয়া এবং রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।করোনাভাইরাস যে কোনো পৃষ্ঠতলে টিকে থাকতে পারায় এই বর্জ্যের কিছু অংশ এমনকী সংক্রামকের ভূমিকাও পালন করতে পারে।

এসব বর্জ্য যেখানে মাটিচাপা দেওয়া হয়, দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে সেসব এলাকা সংশ্লিষ্ট মানুষজন পোড়া বর্জ্যের দূষিত বাতাস, নিম্নমানের পানি ও রোগবহনকারী কীটপতঙ্গের কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

মেডিকেল সরঞ্জামের প্যাকেজিং, যার কারণে বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক লাগে তার ব্যবহার কমানোসহ এক্ষেত্রে সংস্কার এবং পুনরায় ব্যবহারযোগ্য উপদানে তৈরি সুরক্ষা উপকরণের ব্যবহার বাড়াতে বিনিয়োগেরও ওপরও জোর দেওয়ার কথা প্রতিবেদনে এসেছে।

প্রতিবেদনে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘের একটি পোর্টালের মাধ্যমে যে পরিমাণ পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) কেনার আদেশ দেওয়া হয়েছে, তার ওজন আনুমানিক প্রায় ৮৭ হাজার টন হবে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে: এসব পিপিইর বেশিরভাগেরই ইতি ঘটেছে মেডিকেল বর্জ্য হিসেবে।   

প্রতিবেদনে প্রায় ১৪ কোটি কোভিড শনাক্তকরণ কিটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, এসব থেকে যে দুই হাজার ৬০০ টন বর্জ্য তৈরি হবে তার বেশিরভাগই প্লাস্টিক, এবং যে পরিমাণ রাসায়নিক বর্জ্য মিলবে তা অলিম্পিকের একটি সুইমিং পুলের এক তৃতীয়াংশ ভরে ফেলতে পারবে।বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত আনুমানিক ৮০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে; সেসব দিতে ব্যবহৃত কাঁচের শিশি, সিরিঞ্জ, সুই ও নিরাপত্তা বাক্সও তৈরি করেছে অতিরিক্ত এক লাখ ৪৪ হাজার টন বর্জ্য।মহামারীর আগেও স্বাস্থ্যসেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের এক তৃতীয়াংশই মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পটু ছিল না; দরিদ্র দেশগুলোর কোথাও কোথাও এ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৬০ শতাংশের কাছাকাছি।মহামারীতে পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়েছে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য