Saturday, January 18, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদগাজায় যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানোর চুক্তি হয়েছে: কাতার

গাজায় যুদ্ধবিরতি দুই দিন বাড়ানোর চুক্তি হয়েছে: কাতার

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৮ নভেম্বর: গাজায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চলমান মানবিক যুদ্ধবিরতি আরও দুইদিন বাড়ানোর চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা।হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর ৪৮ দিন পর কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় গত শুক্রবার থেকে গাজায় চার দিনের ‘মানবিক’ বিরতি শুরু হয়েছিল। সোমবার রাতেই এ বিরতি শেষ হওয়ার কথা ছিল।এবার হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এই বিরতি আরও দুদিন বাড়ানোর বিষয়ে চুক্তিতে উপনীত হওয়ার খবর এল।স্যোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে সোমবার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, মানবিক যুদ্ধবিরতি অতিরিক্ত দুই দিন বাড়ানোর জন্য একটি চুক্তি হয়েছে।”ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাসও জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি দুইদিন বাড়াতে রাজি হয়েছে। তবে ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

হামাসের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আগে যে সমস্ত শর্তে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল, সেই একই শর্তেই যুদ্ধবিরতি চলবে।”আগের চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির চার দিনে হামাসের অন্তত ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া, বিনিময়ে ইসরায়েলের তাদের কারাগারে বন্দি অন্তত ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া এবং গাজায় ত্রাণবাহী ২০০ ট্রাকের পাশাপাশি এক লাখ ৪০ হাজার লিটার জ্বালানি ও গ্যাস ভর্তি অন্তত চারটি লরি প্রবেশের অনুমোদন দেওয়ার কথা ছিল।সেই নিয়মে এখন পর্যন্ত হামাসের ৩৯ জন ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে মুক্তি পেয়েছে ইসরায়েলের জেলে থাকা ১১৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দি। আর যুদ্ধবিরতির শেষ দিন সোমবারে মুক্তি পাওয়ার কথা, আরও ১১ ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ৩৩ ফিলিস্তিনির।

এর আগে রোববার হামাস ১৩ ইসরায়েলি, থাইল্যান্ডের তিনজন এবং রাশিয়ার পাসপোর্টধারী একজনকে রেড ক্রসের হাতে তুলে দেয়।অতিরিক্ত ১০ জন করে ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ একদিন করে বাড়ানো হতে পারে বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন গত ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্ত সংলগ্ন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের নজিরবিহীন হামলা সবাইকে হতবাক করে দেয় এবং সাধারণ ইসরায়েলিরা হতভম্ব হয়ে পড়ে।সেই হামলায় ১২০০ জন নিহত হয় এবং তাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। ওই দিন প্রায় ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে রাখে হামাস।হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে প্রায় সবদিক থেকে গাজা অবরুদ্ধ করে ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। তাদের অবিরাম বোমাবর্ষণ ও গোলা হামলায় ১৪ হাজারেরও বেশি গাজাবাসী ফিলিস্তিনি নিহত হয়, এদের প্রায় ৪০ শতাংশ শিশু।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য