স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২৭ জুলাই: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিতর্কিত নতুন অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ১৪ দিনের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন দেশটির একজন ফেডারেল বিচারক।যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রবেশ সীমিত করতে গত মে মাসে বাইডেন প্রশাসন নতুন কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে।কোভিড ১৯ মহামারীর সময় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকাতে আরোপ করা ‘টাইটেল-৪২’ বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষের পর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল।যে বিধিনিষেধকে চ্যালেঞ্জ করে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নসহ (এসিএলইউ) আরও কয়েকটি নাগরিক অধিকার সংগঠন আদালতের দ্বারস্থ হয়। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের জেলা জজ জন টিগার এ আদেশ দেন।আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে বাইডেন প্রশাসন।
গত ১১ মে থেকে কার্যকর হওয়া বাইডেনের নতুন অভিবাসন নীতিতে বলা হয়েছে, তৃতীয় কোনো দেশ হয়ে আসার সময় ওই দেশে আশ্রয় চাননি অথবা বৈধপথে যুক্তরাষ্ট্রে আসেননি এমন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।এ নীতি কার্যকর হওয়ার পর মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আসা অভিবাসীদের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পায়। এখন প্রশ্ন উঠেছে, বাইডেনের নীতিতে স্থগিতাদেশ বহাল থাকলে সীমান্তে আবারও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢল নামবে কি না।এ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের একজন মুখপাত্র সিএনএন-কে বলেন, বাইডেনের নীতির বিরুদ্ধে দেওয়া এই স্থগিতাদেশের ফলে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।
তিনি সিএনএন-কে বলেন, “ইস্ট বে মামলায় জেলা আদালত আজ যে রায় দিয়েছে, তার সঙ্গে বিচার বিভাগ একমত নয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে এবং আমরা এই স্থগিতাদেশের উপর স্থগিতাদেশ চাইব।“আইনসম্মত পথে নিয়মের কারসাজি অভিবাসন আইনে প্রদত্ত বিস্তৃত কর্তৃত্বের একটি বৈধ অনুশীলন এবং আমরা যে নিজেদের অবস্থানে সঠিক সে বিষয়ে আমাদের সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাস আছে।”ওদিকে, বাইডেনের অভিবাসন নীতি স্থগিত করে ৩৫ পৃষ্ঠার আদেশে বিচারক টিগার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইনে স্পষ্ট বলা আছে, অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি আশ্রয় পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে না।