Monday, July 21, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদলিবিয়ায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের গ্রেপ্তারে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ

লিবিয়ায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের গ্রেপ্তারে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৩ জুন: লিবিয়ায় অভিবাসনপ্রত্যাশী ও আশ্রয়প্রার্থীদের ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটিতে থাকা জাতিসংঘ মিশন।সেখানে বিদ্বেষমূলক এবং বর্ণবাদী কথাবার্তাও বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে তারা।জাতিসংঘ মিশন সোমবার জানায়, লিবিয়া কর্তৃপক্ষ বাড়ি বাড়ি গিয়ে, রাস্তা থেকে কিংবা মানুষ পাচারের অভিযোগ থাকা বিভিন্ন শিবির এবং গুদমঘর থেকে হাজার হাজার নারী, পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে।শিশু এবং গর্ভবতী নারীসহ অনেককেই গাদাগাদি করে অস্বাস্থ্যকর জায়গায় রাখা হচ্ছে। তাছাড়া, বৈধভাবে লিবিয়ায় প্রবেশ করা কিছু মানুষসহ অন্যান্য হাজার হাজার জনকে একযোগে বহিষ্কার করা হচ্ছে।

গত সপ্তাহে পূর্ব লিবিয়া কর্তৃপক্ষ হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে মিশরে  পাঠিয়ে দিয়েছে। তারা পায়ে হেঁটে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে।ত্রিপোলিতে সম্প্রতি অভিবাসন বিষয়ক পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। অভিবাসনপ্রত্যাশীরা প্রতিদিন যেখানে কাজের জন্য জড়ো হয় সেখানেই বসানো হয়েছে পুলিশ প্রহরা।লিবিয়ায় অনেক অনিরাপত্তা থাকার পরও দেশটিতে রয়েছে প্রায় ৫ লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী। তাদের কেউ কেউ ইউরোপে পাড়ি জমানোর সুযোগ খোঁজে। কেউবা কাজ খোঁজে।\লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আব্দুলহামিদ আল-দ্বেইবা এবং পূর্ব লিবিয়ার সামরিক কমান্ডার খলিফা হাফতার সম্প্রতি রোম সফর করেছেন। যেখানে প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ইতালিতে অভিবাসপ্রত্যাশীর ঢল কমানোর জন্য তাগাদা দিয়ে আসছেন।পূর্ব লিবিয়ায় কর্তৃপক্ষ সোমবার জানিয়েছে, তারা ইতালিতে অবৈধভাবে পাড়ি জমানোর চেষ্টায় থাকা একটি নৌকা থেকে ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

অবৈধভাবে লিবিয়ায় যাওয়া এক সুদানি মেটাল কর্মী মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, তিনি মানব পাচারকারীদের নির্মম আচরণের শিকার হয়েছেন। তবে কর্তৃপক্ষর সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি শরণার্থী হিসাবে বৈধতা পেয়েছেন। যদিও শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর খবরে শঙ্কিত বলেও জানিয়েছেন তিনি।ওদিকে, ত্রিপোলিতে পশ্চিমাঞ্চলে এক মিশরীয় গ্রেপ্তার হওয়ার শঙ্কায় আছেন। তার অনেক বন্ধুই গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই মিশরীয় বলেন, “আমি আটক হওয়া, অপহৃত হওয়া, মুক্তিপণের জন্য জিম্মি হওয়া এবং জবরদস্তি বিতাড়িত হওয়ার ভয়ে আছি… লিবিয়ায় বেঁচে থাকা কঠিন।”তবে লিবিয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে জাতিসংঘ মিশনের এমন বিবরণের বিষয়ে ত্রিপোলির ন্যাশনাল ইউনিটি সরকার এবং পূর্ব লিবিয়ার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!