Saturday, January 25, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের জন্য কতটা ভয়ের

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের জন্য কতটা ভয়ের

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,,২৮ এপ্রিল: আমরা মানুষের সব কাজকে কি স্বয়ংক্রিয় করে ফেলব? আমরা কি এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করব, যা আমাদের ছাড়িয়ে যাবে বা আমাদের চেয়েও উন্নত হবে? আমরা কি আমাদের সভ্যতার নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকি নেব? গত মাসে ফিউচার অব লাইফ ইনস্টিটিউট নামের একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) একটি খোলা চিঠিতে এসব প্রশ্ন তোলা হয়।বেসরকারি সংস্থার চিঠিতে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) উন্নয়ন ছয় মাস বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়। এতে ইলন মাস্কের মতো বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি উদ্যোক্তা, গবেষক ও বিজ্ঞানীরা স্বাক্ষর করেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রসর হওয়ার বিষয়টি জনমনে কতটা উদ্বেগ তৈরি করেছে, তার সবচেয়ে বিশিষ্ট উদাহরণ এটি।উদ্বেগের কারণ হচ্ছে, নতুন লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের (এলএলএমএস) দ্রুত উন্নয়ন। এই এলএলএমএস মূলত চ্যাটজিপিটির মূল ইঞ্জিন। মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের তৈরি চ্যাটজিপিটি ইতিমধ্যে প্রযুক্তি–বিশ্বে সাড়া ফেলেছে। এটির অপ্রত্যাশিত প্রতিভা ইতিমধ্যে এর নির্মাতাকেও বিস্মিত করেছে। চ্যাটজিপিটির সক্ষমতার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধাঁধার সমাধান, কম্পিউটার কোড লেখা থেকে শুরু করে ফিল্ম শনাক্ত করাসহ অনেক কিছুই।

চ্যাটজিপিটিতে ব্যবহৃত ভাষার মডেলগুলো কম্পিউটারের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ককে রূপান্তরিত করে। এআই প্রযুক্তি উন্নয়নের সমর্থকদের যুক্তি—এ প্রযুক্তি নতুন ওষুধ তৈরি করে বড় সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। নতুন নতুন উপাদান তৈরি করছে, যাতে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের পক্ষে লড়তে পারি। জটিল ফিউশন শক্তির সমস্যা সমাধানের পথ দেখাচ্ছে। তবে ভিন্নমত পোষণকারী মানুষেরও অভাব নেই। তাঁদের মতে, এআই নির্মাতাদের ঝুঁকি বোঝার সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে এআইয়ের ক্ষমতা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় মারাত্মক ঝুঁকির আশঙ্কাও দেখছেন তাঁরা।এআই ঘিরে যে উত্তেজনা ও আশঙ্কা ছড়িয়েছে, তার কারণ এর সুযোগ ও ঝুঁকির বিষয়টি এখন বিবেচনা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে গবেষকেরা বলছেন, অন্যান্য শিল্প খাত ও অতীতে প্রযুক্তি রূপান্তরের সময় থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আরও সক্ষম করতে কী ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে? কতটা ভয় পেতে হবে? সরকারকে কী করতে হবে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে দেখতে হবে।

ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এলএলএমএসের ভবিষ্যৎ গতিপথ খতিয়ে দেখা হয়েছে। এক দশক আগেই আধুনিক এআই সিস্টেমের ঢেউ শুরু হয়েছিল। ওই সময় ছবি শনাক্ত বা বার্তা অনুবাদ করতে পারত এটি। কিন্তু এখন এআই আরও উন্নত হয়েছে। একে প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়। অনলাইনের বিশাল তথ্যভান্ডার থেকে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আরও উন্নত হয়ে উঠতে পারে এই সিস্টেম। গত বছরের নভেম্বরে চ্যাটজিপিটি উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকে এর সক্ষমতা সম্পর্কে ইতিমধ্যে মানুষের ধারণা জন্মেছে। চ্যাটজিপিটি উন্মুক্ত হওয়ার পর এক সপ্তাহের মধ্যেই ১০ লাখের বেশি মানুষ এটি ব্যবহার করেন। দুই মাসে ১০ কোটি ব্যবহারকারী এটি ব্যবহার করেন। স্কুলের রচনা লেখা থেকে শুরু করে বিয়ের ইচ্ছাপত্রেও এটি ব্যবহৃত হতে শুর করেছে। চ্যাটজিপিটির জনপ্রিয়তার কারণে মাইক্রোসফট তাদের বিং সার্চ ইঞ্জিনেও এটি যুক্ত করে। মাইক্রোসফটের দেখাদেখি গুগলও এ পথে হাঁটতে শুরু করেছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য